সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় বিস্ফোরক বার্তা ফাঁস করেছেন সুশান্তের বাবা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন  তিনি জানিয়েছিলেন তার ছেলের জীবন বিপন্ন, এবং ভীষণই সঙ্কটে রয়েছেন মুম্বই পুলিশ তাকে চাপ দেয় বিহার পুলিশের কাছে যেতে

সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে একের পর এক নয়া মোড় বেরিয়ে আসছে। মৃত্যুর ৪০ দিন পার হলেও জলঘোলা যেন বেড়েই চলেছেন। তার মৃত্যুর পিছনের আসল রহস্য এখনও বের করে উঠতে পারেনি মুম্বই পুলিশ। তবে সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও ছেলের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। সুশান্তের মৃত্যুতে একাধিক অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়ার দিকে। সুশান্তের বাবাও ১৬ দফা অভিযোগ দায়ের করেছেন রিয়ার বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ভিডিও বার্তায় বিস্ফোরক বার্তা দিয়েছেন সুশান্তের বাবা।

আরও পড়ুন-কিশোর কুমারের প্রথম গান গাওয়া দাদার বোম্বে টকিজের ছবিতেই, বাকিটা ইতিহাস...

সম্প্রতি ভিডিও বার্তায় সুশান্তের বাবা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং তখনই তিনি জানিয়েছিলেন তার ছেলের জীবন বিপন্ন, এবং ভীষণই সঙ্কটে রয়েছেন। তারপরও পুলিশ কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী তিনি ভিডিও বার্তায় আরও জানান, মুম্বই পুলিশ তাকে চাপ দেয় বিহার পুলিশের কাছে যেতে। তারপর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান। তারপর এল সেই কালো দিন। ১৪ জুন। সুশান্তের মৃত্যুর পরও পুলিশে অভিযোগ করেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা। মৃত্যুর ৪০ দিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেননি মুম্বই পুলিশ। দেখুন ভিডিওটি,

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন-'বেবিস ডে আউট', হলুদ রঙের শর্ট ড্রেসে নজরকাড়া 'মাদার টু বি'-র ঝলক...

ছেলের মৃত্যুতে তার পরিবার কেন চুপ ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভাল নেই, তাই তিনি মুম্বই গিয়ে মামলা দায়ের করতে পারেননি। ইতিমধ্যেই বিহার থেকে চারজন সদস্য তদন্তের জন্য মুম্বইয়ে এসেছে। সুশান্তের বাবা আরও জানিয়েছেন, মৃত্যুর এতদিন কেটে গেলেও তার ছেলের দোষীদের খুঁজে বার করতে পারেননি মুম্বই পুলিশ। তাই তিনি আর পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এমনকী ছেলের মানসিক অবসাদ কথা তারা জানতেন না। ছেলের কোনওরকমই মানসিক অবসাদ ছিল না বলেই জানিয়েছেন অভিনেতার বাবা। রিয়াই অভিনেতার উপর একাধিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, রিয়া পালিয়ে বেরাচ্ছে, পাটনা পুলিশকে কোনওভাবেই সাহায্য করছে না। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও তার সহকর্মী সঞ্জয় ঝা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছন। তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। বিহার পুলিশের ডিরেক্টর গুপ্তেশ্বর পান্ডে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তদন্তের স্বার্থে বিহার পুলিশের সিনিয়র আধিকারিক তথা পাটনার পুলিশ সুপার বিনয় তিওয়ারি মুম্বই পৌঁছতেই তাকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।