সংক্ষিপ্ত
- ঘনিষ্ঠ প্রযোজক বন্ধু সন্দীপ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানিয়েছে সুশান্তের পারিবারিক বন্ধু
- সুশান্তের মৃত্যুর পর সবার প্রথম অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছান সন্দীপ
- পুলিশের নির্দেশে অভিনেতার প্যান-আধার কার্ড বের করা সবটাই নিজের হাতে করেছেন সন্দীপ
- তবে কি সুশান্তের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও সন্দেহের চোখে দেখছে সুশান্তের পরিবার
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু কোনভাবেই যেন মেন নিতে পারছেন না গোটা বিশ্ব। তার মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। একের পর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিলিট হয়ে যাচ্ছে সুশান্তের। কিন্তু কীভাবে হচ্ছে? কে-ই বা ব্যবহার করছে সুশান্তের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট? কারাই বা জড়িত রয়েছে? পুলিশ নাকি অন্য কেউ ? এই প্রশ্নই এখন উঠে আসছে। সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের পারিবারিক বন্ধু নীলোৎপল মুম্বই পুলিশকে চিঠি পাঠিয়েছে, শুধু তাই নয় সুশান্তের ঘনিষ্ঠ প্রযোজক বন্ধু সন্দীপ সিং-কে আবারও যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সেই কথা জানিয়েছেন তিনি। কারণ সুশান্তের মৃত্যুর পর সবার প্রথম অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছান সন্দীপই।
আরও পড়ুন-ডেট নাইট থেকে গোয়া ট্রিপ, অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সৃজিত-মিথিলা, দুরন্ত গতিতে ভাইরাল ছবি...
তবে কি সুশান্তের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও সন্দেহের চোখে দেখছে সুশান্তের পরিবার এই প্রশ্নও উঠে আসছে। সূত্র থেকে জানা গেছে, সুশান্তের মৃত্যুর পর সবার প্রথম অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছান সন্দীপ। সেখান থেকে সুশান্তকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এমনকী পুলিশের নির্দেশে অভিনেতার প্যান-আধার কার্ড বের করা সবটাই নিজের হাতে করেছেন সন্দীপ। কারণ সেই সময়ে সুশান্তের পরিবারের কেউই তখনও পৌঁছতে পারেনি। তবে তিনি একা নন, সুশান্ত ঘনিষ্ঠ মহেশও ছিলেন। কিন্তু তিনি এই মৃত্যুশোক নিতে পারেননি তাই এই পুরো কাজ একা হাতেই সামলেছিলেন সন্দীপ।
আরও পড়ুন-'শাহরুখের এই ছবি পুরুষদের সমকামীতে পরিণত করবে', বিস্ফোরক টুইট আরশদের...
সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ সিং একটি তথ্য প্রকাশ্য এনেছেন। সন্দীপ জানিয়েছেন, একের পর এক প্রভাবশালীদের মেসেজ ভরে উঠছে তার ফোন। কেন সুশান্তের শেষকৃত্যে ডাকা হল না সেই প্রভাবশালীদের। যার জেরেই হুমকি পাচ্ছেন সন্দীপ। সন্দীপ জানিয়েছিলেন, বলিউডের প্রভাবশালীদের প্রতিক্রিয়া রীতিমতো হতবাক হয়েছেন তিনি। সুশান্তকে নিয়ে যে নাটক শুরু হয়েছে তা মোটেই পছন্দ হয় সন্দীপের। সুশান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর বাড়ি এসে স্নান করতে যাওয়ার সময়েই একাধিক ফোন ও মেসেজ আসতে শুরু করে। তাদের একটাই অভিযোগ সুশান্তের শেষকৃত্যে কেন তারা ডাক পাননি। তারা আরও বলেছিলেন, আমরা শক্তিশালী, প্রভাবশালী লোক, তাও আমাদের কেন ডাক পড়ল না। এছাড়া শেষকৃ্ত্যে আসার জন্য কাউকে নিমন্ত্রণের দরকার নেই বলেই জানিয়েছেন সন্দীপ। সুশান্তের শেষকৃত্যে যারা এসেছে তারা নিজেদের ইচ্ছাতেই এসেছে। কারণ তারা সুশান্তের ভাল বন্ধু।