সংক্ষিপ্ত
অভিনেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোনওরকম গুজব ছড়াক তা পরিবারের সদস্যরা একেবারেই চান না। এরপরই অভিনেতার পিআর টিমের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ সকালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার। মাত্র ৪০ বছর বয়সেই যে তাঁর জীবনের উড়ান থেমে যাবে এটা বুঝতে পারেননি প্রিয়জনরাও। তাই তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক বলি ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি প্রিয়জন ও ভক্তরা।
বুধবার রাতে ওষুধ খেয়ে শুয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু, আজ সকালে আর ঘুম থেকে ওঠেননি তিনি। অবশেষে তাঁকে মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়ার পরই সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসারও সুযোগ দেননি অভিনেতা। ওই হাসপাতালেই তাঁর ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিবারের তরফে মুম্বই পুলিশকে জানানো হয়েছে, সিদ্ধার্থের কোনওরকম মানসিক চাপ ছিল না। তাই অভিনেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোনওরকম গুজব ছড়াক তা তাঁরা একেবারেই চান না। এরপরই অভিনেতার পিআর টিমের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য মিডিয়াকে অনুরোধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "আপনারা সবাই খবরটা শুনেছেন, সেটা শুনে আপনারা যতটা অবাক হয়েছেন আমরাও ততটাই অবাক হয়েছি। আমাদের একটা অনুরোধ রয়েছে, আমরা চাই এই কঠিন সময় আপনারা সম্মান করুন ও আমাদের পাশে থাকুন। সিদ্ধার্থের পিআর টিমের তরফে মিডিয়ার কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ অভিনেতার পরিবার ও প্রিয়জনদের একটু সময় দিন। তাঁদের শোক পালন করতে দিন।"
আরও পড়ুন- প্রেম থেকে বিতর্ক, ৪০-শে থমকে গেল 'বিগ বস'-এর 'অ্যাংরি ইয়ং ম্যান' সিদ্ধার্থর বর্ণময় জীবন
আরও বলা হয়েছে, "আমরা সবাই যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি! আমরা সবাই জানি যে সিদ্ধার্থ খুব একটা খোলামেলা স্বভাবের ছিলেন না। তাই দয়া করে তাঁর ও তাঁর পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। আর তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন।"
আরও পড়ুন- সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড, প্রয়াত অভিনেতা আবেগঘন শোক বার্তা ইন্ডাস্ট্রির
ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ ছিলেন সিদ্ধার্থ। 'বালিকা বধূ' ধারাবাহিকের মাধ্যমে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর শশাঙ্ক খৈতানের ছবি 'হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া'-র মাধ্যমে বড় পর্দায় ডেবিউ করেছিলেন। সেখানে বরুণ ধাওয়ান ও আলিয়া ভাটের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। 'বিগ বস ১৩'-এর বিজেতাও হয়েছিলেন তিনি। বহু কাদা ছোড়াছুড়ির পর বিজয়ীর ট্রফি হাতে উঠেছে সিদ্ধার্থের হাতে।