সংক্ষিপ্ত
- মঙ্গলবারই ব্রিটেন পাচ্ছে নতুন প্রধানমন্ত্রী
- ভোটে অনেক এগিয়ে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন
- ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে পার্লামেন্টের সমর্থন আদায় করতে না পেরে পদত্যাগ করেন টেরেসা মে
- প্রধানমন্ত্রী যেই হন, ৩ মাসে তাঁকে কামাল করে দেখাতে হবে
মঙ্গলবারই স্পষ্ট হয়ে যাবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে চলেছেন। এখনও ভোটের ফল সামনে না এলেও ব্রিটেনের সাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা তথা দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন যে অনেকটাই এগিয়ে আছেন, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন না করাতে পারার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। গত একমাস ধরে কনজারভেটিভ প্রার্থীর পরবর্তী নেতা হওয়ার লক্ষ্যে দলের প্রায় ২ লক্ষ সদস্যের মধ্যে গত একমাস ধরে প্রচার চালিয়েছেন বরিস জনসন ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান বিদেশ সচিব জেরেমি হান্ট।
আরও পড়ুন - বাচ্চা কোলে হিমসিম অবস্থা ব্রিটিশ রাজবধুর, ট্রোলিং সোশ্যাল মিডিয়ায়
আরও পড়ুন - মেগান ও হ্যারির সঙ্গে প্রথমবার জনসমক্ষে 'বেবি সাসেক্স'! দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন - বিলেতের ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে কী তবে রঘুরাম রাজন, ব্রিটেনে জল্পনা তুঙ্গে
সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টের সময় ভোটিং প্রক্রিয়া শেষ হয়। এখনও ফল ঘোষণা হতে দেরি রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে বরিস অন্তত ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কাজেই টেরেসা মে-এর পর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে তিনিই বসতে চলেছেনল এটা একপ্রকার নিশ্চিত।
তবে প্রধানমন্ত্রীর পদে যেই বসুন, তাঁর মাথায় উঠবে 'ব্রেক্সিট' কাঁটার মুকুট। কনজারভেটিভ পার্টির একাংশ-সহ ব্রিটিশ পার্লমেন্টের অধিকাংশ সাংসদ কোও ট্রান্সিশন চুক্তি ছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়তে রাজি নন। এদিকে ব্রেক্সিটের নির্ধারিত দিন হল চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর। কাজেই হাতে সময় থাকবে মাত্র ৩ মাস। এরমধ্য়ে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। নাহলে, ৩১ অক্টোবরের পর চরম আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে হবে ব্রিটেনকে।