সংক্ষিপ্ত
বান্ধবীকে নিয়ে ইয়র্ক শহরে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক ব্রিটিশ যুবক। রাতে তাঁদের ঘটল চরম অতিলৌকিক অভিজ্ঞতা।
ভূত আছে কি নেই, তাই নিয়ে বিতর্ক চিরদিনের। অনেকেই ভূত দেখার দাবি করে থাকেন, তবে এখনও পর্যন্ত ভূতের অস্তিত্ব সম্পর্কে অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি। এবার ভূতের ছবি তোলার দাবি করলেন ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, সেই ভূত আবার বিজ্ঞান চর্চা করে থাকে। সেই সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে সেই ভূত যা করেছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি, তা শুনে সারা বিশ্বের মানুষ হতবাক হয়ে গিয়েছেন।
অতিলৌকিক অভিজ্ঞতা
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বয়স ৪০ বছর। তিনি ইংল্যান্ডেরর স্টকটন কাউন্টির বাসিন্দা। গত ২১ মার্চ তিনি এবং তাঁর বান্ধবী ইয়র্ক সিটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। রাত নামতেই সেই হোটেলে, তাঁদের অতিলৌকিক অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্রিটিশ যুবক।
শৌচাগারের পথে 'অজানা শক্তি'
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় পার্টি করতে একটি পাবে গিয়েছিলেন ওই যুগল। প্রকৃতি ডাক দেওয়ায় ওই যুবক শৌচাগারে গিয়েছিলেন। আর শৌচাগারে যাওয়ার করিডোরেই প্রথম এক 'অজানা শক্তি'র উপস্থিতি অনুভব করেছিলেন তিনি। কিছু না ভেবেই তিনি তাঁর ফোনের ক্যামেরা চালু করে ওই করিডোরের একটি ছবি তোলেন। সেই ছবিটি তাঁর বান্ধবীকে পাঠিয়েছিলেন তিনি।
রাত দুটোয় ভূতের বার্তা
এরপর পার্টি শেষ করে তাঁরা হোটেলের ঘরে ফিরে এসেছিলেন। দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত দুটো নাগাদ তাঁর বান্ধবীর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছিল। তখন না দেখলেও, পরদিন সকালে তাঁরা সেই মেসেজটি দেখেছিলেন, আর তারপরই মনে ভিড় করেছিল ভূতের ভয়।
'তুমি কি পরে ফোন করতে পারবে?'
ওই ব্রিটিশ যুবক জানিয়েছেন, তাঁর বান্ধবীর ফোনে আসা সেই মেসেজে লেখা ছিল, 'তুমি কি পরে ফোন করতে পারবে?' আরও আশ্চর্যজনক হল, ওই বার্তা গিয়েছিল ওই ব্যক্তির নিজের ফোন থেকেই। যুবকের দাবি, তিনি ওই বার্তা পাঠাননি, তাঁরা দুজনেই সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। তাই, ভূত ছাড়া কেউ ওই বার্তা পাঠাতে পারে না। তাঁর দাবি, ওই হোটেলের বার এবং ঘরে - দুই জায়গাতেই ভূত আছে।
আনসেন্ড মেসেজ
এখানেই অদ্ভূতূরে ঘটনার শেষ নয়। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাত ২টোর আগেও তাঁর ফোন থেকে বান্ধবীর ফোনে একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। তবে, মেসেজটি আনসেন্ড হয়ে গিয়েছিল। সেই মেসেজে ইংরাজি অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে লেখা ছিল একটা অদ্ভূত কথা - 'We are inv 4n 2 z 4nb'।
হাকেলের সমীকরণ
মেসেজটিতে কী বলা হয়েছে, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা করতে না পেরে, কথাটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে লিখে, সেটি সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন ওই যুবক। তাতে তিনি জানতে পারেন, এই সংখ্যা ও অক্ষর মিলিয়ে লেখাটি আসলে জার্মান বিজ্ঞানী আর্মান্দ হাকেলের সমীকরণ। যা, 'হাকেল সূত্র' নামে পরিচিত। তবে, এই সমীকরণটির কথা তিনি আগে কখনও শোনেননি বলেই দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। এর থেকেই তাঁর ধারণা, ওই ভূত সম্ভবত জীবিত থাকার সময়ে বিজ্ঞানের চর্চা করত।