সংক্ষিপ্ত
এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দুই সন্তানের জননী মেগান, যিনি একটি আভিজাত কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন, থিয়েটার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক -দুটি বিষয়ে তাঁর ডিগ্রি রয়েছে।
রাজবাড়ি ছেড়েছেন। কিন্তু তাতে কী? নয়া সমীক্ষার রিপোর্ট বলা হয়েছে মেগান মার্কেল (Meghan Markle) ব্রিটিশ রাজপরিবারের (British Roya Family) সবথেকে বুদ্ধমান সদস্য। অক্সফোর্ড রয়্যাল এই সমীক্ষাটি করেছিল। পরিবারের সদস্যদের একাডেমিক প্রমাণপত্রের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছেন নতুন এই রিপোর্ট। গবেষকদের তরফে বলা হয়েছে উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফল থেকে শুরু করে কলেজ ভর্তি পর্যন্ত তারা রিপোর্টকার্ড স্থান পেয়েছে নতুন এই সমীক্ষায়। এই শিক্ষা সংস্থাটি QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ব়্যাঙ্কিং ব্যবহার করে. যা তাদের একাডেমিক খ্যাতির ওপর ভিত্তি করে কলেজগুলিকে রেডিং দেয়।
এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দুই সন্তানের জননী মেগান, যিনি একটি আভিজাত কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন, থিয়েটার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক -দুটি বিষয়ে তাঁর ডিগ্রি রয়েছে। তিনি শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। মেগান ইলিনয়ের ইভানস্টনের অভিজাত নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতক। তাঁর কলেজ ২০২১ সালে বিশ্ব ব়্যাঙ্কিং ৩০ নম্বরে ছিল।
অক্সফোর্ড ব়য়্যালের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন রাজকীয় হিসাবে জীবন সবসময় খুব একটা সহজ নয়। জনসাধরণের স্পটলাইটে সারাক্ষণ থাকতে হয়। দেশের পাশেপাশি বিদেশী নাগরিকদেরও প্রবল আগ্রহ রয়েছে রাজপরিবারের দিকে। সেখানে মেগান মার্কেলের শিক্ষাগত শক্তি তাঁকে সেই ভূমিকার জন্য পুরোপুরি তৈরি করেছে। রাজপরিবাের সদস্যদের অমতে গিয়েই মেগানের সঙ্গে গাঁটছ়ড়া বেঁধেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। বিয়ের পর তাঁরা রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একই সঙ্গে থাকতেন। তবে সম্প্রতি হ্যারি ও মেগান আদাল হয়ে যান।
মেগান তাঁর স্বামী প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে তাঁদের সরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেস হিসেবে রাজপরিবারের সদস্যপদও ত্যাগ করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু বিশ্বের আগ্রহ মনোযোগ তাঁদের একাধিক পদক্ষেপের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে। সেদিকে জনগণের আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়াতে প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য মেগান তাঁর ইচ্ছে, বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণাত্মক মনের পাশাপাশি শিক্ষাহত যোগ্যতাও কাজে লাগিয়েছেন।
অন্যদিকে কেট মিডলটন ডাচেস অব কেমব্রিজ গবেষণাপত্রে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রয়েছেন। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি ভালো পিয়ানো বাজাতে জানেন। তিনি ইংল্যান্ডে ইউল্টশায়ারের প্রাইভেট মার্লবোরো কলেজ থেকে হাইস্কুলের পড়াশুনা করেছেন। এটি বিশ্বব়্যাঙ্কিং ৯১তম স্থানে রয়েছে। প্রিন্স ইউলিয়ম তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে মেগানের স্বামী হ্যারি অক্সফোর্ড রয়্যালের শীর্ষ ১০এ নেই।