সংক্ষিপ্ত

পয়লা ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নতুন বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । শিক্ষাখাতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। 

পয়লা ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নতুন বাজেট (Budget 2022) পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। চলতি বছরের বাজেট তাঁর জন্য সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে। অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষাখাতেও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ( Union Finance Minister  Nirmala Sitharaman )। কারণ দীর্ঘ কোবিডবর্ষে বড়সড় প্রভাব পড়েছে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রেই।

কোভিডের জেরে সারা দেশেই অসংখ্য বিদ্য়ালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লাফিয়ে বেড়েছে স্কুল ড্রফ আউট বা স্কুল ছুটের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। নয়া বাজেটে শিক্ষার বেহাল অবস্থা ফেরাতে বিশেষ নজর রাখতে হবে তাঁকে এবার। বিগত শিক্ষাখাতে ৯৩,২২৩ কোটি টাকা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। মঙ্গলবারের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকল নাগরিকদের দাবি থাকবে শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধির জন্য। অর্থাৎ  ৯৩,২২৩ কোটি টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত রোজগারের দাবি থাকবে প্রায় সকলের। উল্লেখ্য, সরকারের প্রস্তাবিত নিউ এডুকেশন পলিসি (New Education Policcy) প্রয়োগের পথে জোরকদমে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে  বিনিয়োগ বাডা়নোর দরকার আছে।  নিউ এডুকেশন পলিসি ব্লু ্প্রিন্ট অন্তত শিক্ষাক্ষেত্রে ৬ থেকে ১০ শতাংশ জিডিপি (GDP) খরচ কমার দাবি রাখে। তাই বাস্তবে নিউ এডুকেশন পলিসি প্রয়োগের পথে এগোয় কেন্দ্র, তাহলে কিছুটা খরচ বাড়াতেই হবে। 

আরও পড়ুন, Budget 2022: মঙ্গলে পেশ কেন্দ্রীয় বাজেট, তার আগে দেখে নিন কী কী পেয়েছে ভারতীয় নারীরা

আরও পড়ুন, Budget 2022-Work From Home: কর ছাড় পাবেন কি ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলের কর্মচারীরা, অপেক্ষায় সবাই

অপরদিকে কোভিড পরিস্থিতিতে সারা দেশে অধিক সংখ্যায় স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইউনিসেফের সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিপুল সংখ্যায় স্কুল বন্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। প্রচুর ছেলেমেয়ে বাধ্যতামূলকভাবে শিশুশ্রম করতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্রীদের মধ্য়ে অনেকেই হয়েছে বাল্যবিবাহের শিকার। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মঙ্গলবারের এই শিক্ষা বাজেট রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে একটি বৈষম্য়ের সৃষ্টি করেছে। এই বৈষ্যমের নাম ডিজিট্যাল ডিভাইড। এই বৈষম্যের ফলে যাদের স্মার্ট ফোন নেই, বা ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, তাঁদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার জোগাড়। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের কাজ হল, দেশের ডিজিট্যাল পরিকাঠামো শক্তিশালী করা। যাতে সকল শিশু ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে। পাশাপাশি আরও বেশি করে শিক্ষা ঋণ প্রদান করা। এব দেশের উচ্চশিক্ষায় ফান্ড বাড়ানোর দিকেও শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সবার নজর থাকবে।