সংক্ষিপ্ত
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হবে ইউনিয়ন বাজেট। আর বাজেট পেশের আগে লোকসভায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ। সমীক্ষায় উঠে এল দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি।
বাজেট (Union Budget) পেশের আগে প্রত্যেকবারের মত এবারেও বাজেট পেশের আগে লোকসভায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা (Economic Survey) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Shitaraman)। এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকেই গোটা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার (Financial Status) ভিত কেমন রয়েছে সেই বিষয় স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। দেশের আর্থিক স্তর যদি স্বস্তিদায়ক না হয় তাহলে অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে কী কী সংস্করণ প্রয়োজন সেই বিষয়টিও বিশদে আলোচনা করা হয়। দেখে নেওয়া যাক ২০২০-২১ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (Economic Survey) থেকে কোন কোন বিষয়গুলো উঠে এল।
১. ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে রিয়েল টার্মস থেকে ৯.২ শতাংশ গ্রোথ আশা করা হচ্ছে।
২. ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি ৮.০ থেকে ৮.৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
৩. ২০২১ সালে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ক্যাপেক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.৫ শতাংশ। ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বর ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্ভস পৌঁছেছে ৬৩৩.৬ বিলিয়নে।
৪.ম্যাক্রো ইকনোমিকের স্থায়িত্ব ২০২২-২৩ সালে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নতির দিকে এগবে তারই সবুজ সংকেত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-Economic Survey 2022: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-এর হাইলাইটস, দেখে নিন এক নজরে
৫.সামাজির পরিষেবার খাতে ব্যায়ের যে অনুপাত সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২১-২২ সালে জিডিপি বেড়েছে ৮.৬ শতাংশ, যেখানে ২০১৪-১৫ সালে জিডিপি বৃদ্ধির গ্রোথ ছিল ৬.২ শতাংশ।
৬. ২০২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে কর্মক্ষেত্রগুলো আবার প্রাক করোনা পরিস্থিতিতে অর্থাৎ পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল। সেই জন্যই অর্থনীতিও ফের পুনরুজ্জীবিত হচ্ছিল।
৭. প্রাক করোনা পরিস্থিতিতে আমদানি ও রফতানিও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে চলত, ২০২০-২১ সালের শেষে আবার পুরনো গতিতেই কাজ এগোচ্ছিল।
৮. ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কের ক্রেডিড ত্বরাণ্বিত হয়েছে ৯.২ শতাংশ পর্যন্ত। ৭৫ টি আইপিও থেকে ৮৯ হাজার ০৬৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে যা বিগত কয়েক দশকের আয়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।
৯. ২০২১-২২ অর্থ বর্ষের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত CPI-C মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে মাঝারি থেকে ৫.২ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে এই একই অর্থবর্ষে খাওয়ারের মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি থেকে কমে হয়েছে ২.৯ শতাংশ।
১০. কার্যকরী সরবরবাহকারী সাইড ম্যানেজমেন্টগুলো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম নিয়ন্ত্রেনর মধ্যে রেখেছিল।
১১. ২০২১-২২ অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে কৃষিক্ষেত্রে জিভিএ অনুমোদিত BUOYANT-এর গ্রোথ হয়েছে ৩.৯ শতাংশ।
১২. রেলওয়ের ক্ষেত্রে খরচের পরিমান ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বেড়েছে ১৫৫,১৮১ কোটি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে সেই পরিমান আরও একটু বাড়িয়ে ২১৫,০৫৮ কোটি পর্যন্ত করা হয়। ২০২০-২১ সালে ৩৬.৫ কিলোমিটারে প্রতিদিন রাস্তা নির্মাণের স্তর ২০১৪ সালের তুলনায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ৩০.৪ শতাংশ।
১৩. ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নীতি আয়োগ ড্যাশবোর্ডে সার্বিক স্কোর ৬৬-তে উন্নীত হয়েছে।