সংক্ষিপ্ত
- বিজেপি করায় মারধর ও কামড়ানোর অভিযোগ
- হামলার তির তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
- ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে
- ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল নেই, বলছে নেতৃত্ব
পত্রলেখা বসু চন্দ্র : বিজেপি করায় কর্মীকে মারধর ও গায়ে কামড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার বটগ্রামে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন বলে জানিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব।
অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলে বাজার করতে যাওয়ার সময় আউসগ্রামের বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। বাইক থেকে নামিয়ে বাপন শেখ নামের বিজেপি কর্মীকে মারধর করে হামলাকারীরা। বাপনের অভিযোগ, শরীরের বহু জায়গায় কামড়ে দেয় তৃণমূলের লোকজন। পরে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে থানায় অভিযোগ জানায় বিজেপি।
বাপন শেখ জানিয়েছে, ওইদিন জনা পাঁচেক তৃণমূল কর্মী তাঁর বাইক আটকায়। কেন সে বিজেপি করে, তা জানতে চায় হামলাকারীরা। এরপরই বুকে, হাতে ,গলায় কামড়াতে থাকে। এলাকায় ভিড় বাড়লে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রাই তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এটা কোনও একটা ঘটনা নয়। বিজেপির অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন খানাকুল বিধানসভার ২৪৫ নং বুথের কার্যকর্তা সুদর্শন প্রামানিক। গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক সরজিৎ সামন্ত। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে, খানাকুল দু'নম্বর ব্লকের দৌলতচক সাজুর ঘাটে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের নেতাকর্মীরা এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছিলেন। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হন দুজন। তাঁদেরকে নতিবপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সুদর্শন ওরফে সুদামকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিজেপি।বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ ঘটনাস্থলে যান । তাঁর দাবি, তৃণমূলের গুন্ডারা কুপিয়ে খুন করেছে সুদর্শনকে।