সংক্ষিপ্ত

  • বাইরে বেরোলে গ্রাস করতে পারে ভাইরাসের থাবা
  •  আশঙ্কায় নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন বর্ধমানের যুবক
  •  সন্তানের চিন্তায় রক্তচাপ বাড়ছে  সাম্য়ের পরিবারে
  •  দু বছরের পোস্ট ডক্টরেট করতে গিয়েছেন চিনে

বাইরে বেরোলে গ্রাস করতে পারে ভাইরাসের থাবা। আশঙ্কায় নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন বর্ধমানের যুবক সাম্য় কুমার রায়। সন্তানের চিন্তায় রক্তচাপ বাড়ছে   সাম্য়ের পরিবারে। 

বর্ধমানের কালিবাজার এলাকার যুবক সাম্য কুমার রায়। দু বছরের পোস্ট ডক্টরেট করতে গিয়েছেন চিনে। সেখানে হোবেই প্রদেশের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন নিয়েছেন  সাম্য়। কিন্তু হঠাৎ যে এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়তে হবে, বুঝতে পারেননি তিনিও। 

সাম্য়র ক্যারিয়ারগ্রাফ বলছে, ব্যাঙ্গালোর থেকে এমএসসি পাশ করার পর কানপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি করেন তিনি। পরে ২০১৯ সালে দু বছরের চুক্তিতে চিনের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট ডক্টরেট করতে যান । প্রায় এক বছর পর তিনি দেড় মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।  ছেলেকে পেয়ে খুশির শেষ ছিল না রায় পরিবারে। কিন্তু গত ২১ জানুয়ারি চিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার  পরই খবরটা জানতে পারেন সাম্যর অভিভাবকরা। করোনা ভাইরাস গ্রাস করেছে চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখন কার্যত গৃহবন্দি সাম্য়। যা চিন্তায় রেখেছে পরিবার-পরিজনকে। 

ইতিমধ্য়েই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর বাবা, মায়ের। সাম্য জানিয়েছেন,  সেখানে প্রায় ৩০০ বেশি ভারতীয় ছাত্র ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছে। তার মধ্যে দুজন বাঙালিও রয়েছে। তাদের  একজনের বাড়ি কলকাতায়। ওখানে পৌঁছনোর পর থেকেই তিনি ঘরবন্দি। ঠিকমতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। প্লেন,ট্রেন চলাচল সব বন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুজন ছাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বেগতিক বুঝতে পরে আর চিনে ছেলেকে রাখতে চায় না সাম্য়র পরিবার।  ইতিমধ্য়েই  ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন করেছেন তাঁরা।  এখন ছেলের মুখ দেখার অপেক্ষায় নিত্য়দিন প্রহর গুনছেন তাঁরা।