সংক্ষিপ্ত
- বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস
- পিরামিডের আকার নিয়ে এই চক্র
- পুর্ব বর্ধমান পুলিশের বড়সড় চক্র
- হাওড়া স্টেশনেই ইন্টারভিউ দিত প্রতারিতরা
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান-রেলে চাকরি দেওয়ার নামে বড়সড় প্রতারণা চক্র। পুলিশ একজনকে ধরারই পরই জালে উঠে এল একের এক রাঘববোয়াল। ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে বড়সড় প্রতারণা চক্র চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগের ভিত্তিতে এক মহিলাকে গ্রেফতার করার পর একে একে ধরা পড়ল পাঁচজন।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় স্বপ্নের উড়ান, শিক্ষায় আলোর দিশারী বিদ্যাসাগর পোর্টাল
চাঞ্চল্যকর এই প্রতারণাচক্র ধরা পড়ছে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মোট কুড়ি জনের কাছ থেকে ৪১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা ভৈরব বন্দ্যোপাধ্য়ায় গ্রেফতার। পূর্ণিমা দে নামে আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানাগেছে, সব্যসাচী দে নামে গুসকরার এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে গুসকরা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন-দেশ জুড়ে বিরোধিতা, বাংলায় কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপির মিছিল
পুলিশের তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে, রেলে চাকরির জন্য ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতে হাওড়ার কাছে একটি রেল দফতরের ঘরেই চাকরির ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েঠছিল। তারপরই, চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের। সেই নিয়োগপত্র রেলের আধিকারিকদের কাছে নিয়ে গেলে তা ভুয়ো বলে জানতে পারেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ন-অশোকের জমানায় শিলিগুড়ি, একুশের বিধানসভায় জোর ত্রিমুখী টক্কর
কীভাবে চলত এই প্রতারণা চক্র? ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ভৈরব ব্যানার্জী নামে ওই ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলত। কেউ চাকরির খোঁজে এলে তাঁদেরকেও টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হত। পূর্ণিমা দে ও মোতুলাল কোনার নামে তাঁদের আত্মীয়দের চাকরির জন্য ভৈরবকে টাকা দেয়। পরে তাঁদেরকেই চাকরিপ্রার্থী জোগাড়া করে দেওয়ার নামে মোটা টাকা কমিশন দিত ভৈরব। এই ফাঁদে পা দিয়েই গ্রেফতার পূর্ণিমা দে ও মোতিলাল। ধৃতদের জেরা করে প্রতারণা চক্রে জডিতদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।