সংক্ষিপ্ত

 

  • শহরে রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • দুর্গাপুরে পুলিশ সভার অনুমতি দিতে চায়নি বলে অভিযোগ
  • শেষপর্যন্ত নিজের শহরে সভা করলেন বাম ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ
  • ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো

শহরে রাতে থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করার অনুমতি দেবে তো পুলিশ? আশঙ্কা ছিল ষোলাআনা। শেষপর্যন্ত বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরে জনসভা করলেন বাম ছাত্র নেত্রী ও জেনএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

দিল্লিতে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে গিয়ে বামপন্থী রাজনীতি হাতেখড়ি তাঁর। খুব অল্প সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন বামপন্থী ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ। হামলায় মাথা ফেটেছিল,কিন্তু গুরুতর আহত হয়েও ঐশীর হার মানা লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। বুধবার তাঁর নেতৃত্বেই বাম ছাত্র সংগঠনের একটি সভা হওয়ার কথা ছিল দুর্গাপুরে। কিন্তু শহরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কারণে কার্যত বানচাল হয়ে যেতে বসেছিল সভা!

আরও পড়ুন: মিডডে মিলে গরমিল প্রধান শিক্ষকের, হানা দিয়ে কাগজ বাজেয়াপ্ত করে শোকজ বিডিও-র

বুধবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে বিকেলেই দুর্গাপুরে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক ছিল, রাতে শহরের একটি গেস্ট হাউসে থাকবেন তিনি। কিন্তু সিটি সেন্টার লাগোয়া একটি হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ বিরোধী পদযাত্রা সেরে তিনি সরাসরি সেই হোটেলেই গিয়ে ওঠেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার কারণেই ঝুঁকি নিতে রাজি ছিল না পুলিশ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী রাতে থাকবেন, তাই দুর্গাপুরে কোনও সভা করা যাবে না।  জানা গিয়েছে, পুলিশি নিষেধাজ্ঞার কারণে সভাস্থলে কিছুটা দেরি করে পৌঁছন ঐশীও। ততক্ষণে সেখানে জমায়েত করেছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। শেষপর্যন্ত কড়া পুলিশি নিরাপত্তা সভা হয়। মাইক হাতে ভাষণ দেন জেনএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী।