সংক্ষিপ্ত

  • মেয়ের টানেই ঘরে ফিরেছিলেন তিনি
  • প্রেমিকের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক গৃহবধূ
  • অভিযুক্ত নিজেও আত্মহত্যা করেছে
  • ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানের ভাতারে

পরকীয়া সম্পর্কে ইতি টেনে ফের স্বামীর কাছেই ফিরে এসেছিলেন তিনি। প্রেমিকের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক গৃহবধূ। ঘটনার পর অনুশোচনায় আত্মহত্যা করেছে অভিযুক্ত নিজেও। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে খেড়ুর গ্রামে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃতার নাম পম্পা রায়। বাড়ি, ভাতারের ছাতনী গ্রামে। পম্পার স্বামী পেশায় প্রান্তিক চাষী। ওই দম্পতির দুই সন্তান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে পাশের গ্রাম খেড়ুরের ঘোষপাড়া এলাকার যুবক জয়ন্ত সিংহের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। মাস সাতেক আগে প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি।  তখন মা-কে ফিরিয়ে এনেছিল পম্পার মেয়ে।  তারপর থেকেই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছিলেন পম্পা। 

জানা গিয়েছে, খাওয়া-দাওয়ার পর সোমবার রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত টিভি দেখেন পম্পা ও তাঁর স্বামী। এরপর দু'জনে একসঙ্গেই শুতে যান। পম্পার স্বামীর দাবি, মাঝরাতে যখন তাঁর ঘুম ভাঙে, তখন দেখেন পাশে স্ত্রী নেই! মঙ্গলবার সকালে  গ্রামের একটি পুকুর থেকে পম্পার দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। তবে মৃতার হাত ও পা পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। এদিকে এই ঘটনার পর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর প্রেমিক জয়ন্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। একইদিনে দু'জনের মৃত্যুতে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে এলাকায়। 

আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের বলি, ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুকে খুন কাকু ও জেঠিমার

পম্পা রায়ের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে প্রেমিক জয়ন্তই। ঘটনার পর বাড়ি ফিরে সে নিজেও আত্মহত্যা করেছে।  রাত দশটা নাগাদ ছেলে যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন জয়ন্তের মাও। তাঁর বক্তব্য, বাথরুমে যাওয়ার জন্য রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই যুবক। কয়েক ঘণ্টা পর ফিরে আসে সে।  ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।