সংক্ষিপ্ত

  • চুরির গল্প ফেঁদে শেষ রক্ষা হল না
  • দোকানের মালিক ও কর্মচারী এখন শ্রীঘরে
  • মালিকের বিরুদ্ধেই চুরির অভিযোগ উঠেছে
  • তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার  পুলিশ

 

চুরির গল্প ফেঁদে শেষ রক্ষা হল না। দোকানের মালিক ও কর্মচারী এখন শ্রীঘরে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির হাসপাতাল রোডে সৈয়দ ইদ্রিস আলির ওরফে চাঁদের  ইলেকট্রনিকসের গোডাউন ও দোকান।মঙ্গলবার সকালে দোকানের মালিক মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। দোকানের সাটার ভেঙে টিভি,ফ্রিজ, এসি মেশিন সহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিকস দ্রব্য চুরি হয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ মালিক ও কর্মচারীর কথায় বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করে।ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। পুলিশ কর্মচারী সেখ ইয়াজউদ্দিনকে আটক করে থানায় তুলে যায়।তাকে দফায় দফায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চুরির আসল কাহিনী। তারপর পুলিশ মালিক সৈয়দ ইদ্রিস আলি ও সেখ ইয়াজউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সৈয়দ ইদ্রিস আলির বাড়ি মেমারির কাশিয়াড়ায়।

পুলিশের সন্দেহ, কোম্পানির মালপত্র সরানোর উদ্দেশ্য়েই চুরির পরিকল্পানা করেছিলেন দোকানের মালিক। এই পরিকল্পনার বিষয়ে আগে থেকেই বলা ছিল কর্মচারীকে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেওয়া  হয়। যদিও মালিক ও কর্মচারীর কথায় অসংগতি ফুটে উঠতেই সন্দেহ হয় পুলিশের মনে। এরপরই মালিক, কর্মচারী দু জনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন তারা।