সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কে ব্য়াচে পড়ানো বন্ধ
- অনলাইনে চলছিল পঠনপাঠন
- বকেয়া বেতন চেয়ে বিপাকে শিক্ষক
- বর্ধমানের কাটোয়ার ঘটনা
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: লকডাউন চলছে, তা প্রায় তিনমাস হতে চলল। স্কুল-কলেজ বন্ধ, সংক্রমণের ভয়ে বাড়িতে আর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে পারছেন না গৃহশিক্ষকেরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু পারিশ্রমিক? অনলাইন ক্লাসের জন্য বকেয়া বেতন চেয়ে এবার বিতর্কে জড়ালেন সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তাঁর হুঁশিয়ারি, বকেয়া বেতন না মেটানো পর্যন্ত আর কোনও নোটস দেবেন না! ঘটনায় শোরগোল পড়ে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।
আরও পড়ুন:কর্তব্যরত অবস্থায় 'কিডনি বিকল', প্রাণ গেল সরকারি হাসপাতালের নার্সের
খাতায়-কলমে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি করা আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে! বাড়তি রোজগারের জন্য বাড়িতে বা কোচিং সেন্টারে ব্যাচে পড়ান অনেকেই। ব্যতিক্রম নন কাটোয়া শহরের কাশীরামদাস ইনস্টিটিউশনের বাংলার শিক্ষক বিশ্বজিৎ নস্করও। উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে মোটা বেতন তো পানই, আবার গৃহশিক্ষকতা করেও আয় মন্দ হয় না! এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু লকডাউনের বাজারে অনলাইনে ক্লাস নিতে গিয়ে বিপদে পড়লেন ওই শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, লকডাউন ঘোষণার হওয়ার হোয়াটসঅ্য়া গ্রুপ তৈরি করেন বিশ্বজিৎ। অনলাইনে চলছিল পঠনপাঠন। দিন দুয়েক আগে সেই গ্রুপে বাংলার শিক্ষক লেখেন, 'গ্রুপের প্রত্যেককে বলছি, এপ্রিল-মে মাসের ফি জুনের প্রথম সপ্তাহে পৌঁছে দিতে হবে। তারপরেই নতুন নোট পাঠানো ও অ্যাপের মাধ্যমে পড়ানো শুরু করব।' এখানেই শেষ নয়। ফি দেওয়ার দিনক্ষণ, এমনকী, যাঁদের ফি বকেয়া আছে, তাঁদের নাম উল্লেখ করে দেন তিনি। ব্যস আর যায় কোথায়! হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে স্কিনশট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন এক ছাত্র। পোস্ট ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। ঘটনায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে কাটোয়া শহরে। বিষয়টি একেবারেই ভালোভাবে নেননি শিক্ষক-শিক্ষকদের একাংশও।
আরও পড়ুন:তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভগবানগোলা, চলল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
কাশীরামদাস ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক কমলকান্তি দাস বলেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট টিউশনি করতে পারেননি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কী বলছেন অভিযুক্ত শিক্ষক? বিশ্বজিৎ নস্করের সাফাই, অভিভাবকরাই নাকি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বাড়িতে টিউশনি ফি পৌঁছে দিতে চান! তাঁদের অনুরোধেই জানিয়ছিলাম, কীভাবে ফি দিতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তা পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে।