সংক্ষিপ্ত
- সিএএ বিরোধী প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর
- রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হল তাঁকে
- অভিযোগের তির তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে
- ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরে
দলের নির্দেশে সিএএ-র বিরুদ্ধে এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। বর্ধমানে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্খশুভ্র ঘোষ। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় প্রাক্তন কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী লোকেরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।\
আরও পড়ুন: রাস্তায় দুই নাবালিকাকে 'ধর্ষণের চেষ্টা', অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
বর্ধমান পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে দিয়েছে বছর দেড়েক আগে। শেষবার যখন পুরভোট হয়, তখন শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তৃণমূল প্রার্থী শঙ্খশুভ্র ঘোষ। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রশাসক বসানো হয়েছে পুরসভায়। এপ্রিল কি ভোট হবে? প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। গত সপ্তাহে বর্ধমানে দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে সকলেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রচার করতে হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। কিন্তু ঘটনা হল, সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই বিপদে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্খশুভ্র ঘোষ।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে এনআরসি বিরোধী সভা, বিতর্কে সাংসদ দোলা সেন
জানা দিয়েছে, সোমবার রাতে বর্ধমান শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রচার করছিলেন শঙ্খশুভ্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের জনা দশ-বারো কর্মী। আচমকাই এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান সকলেই। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, দলীয় কর্মসূচিতে যদি দলের লোকের হাতে আক্রান্ত হতে হয়, তাহলে কাজ করব কী করে? বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্খশুভ্র ঘোষ।