সংক্ষিপ্ত
- দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে জলসঙ্কটের আশঙ্কা
- দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেটে লিক!
- সকাল থেকে হু হু করে বেরোচ্ছে জল
- আবার শুরু লকগেট সংস্কারের কাজ
দীপিকা সরকার, দুর্গাপুর-পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়নি দুর্গাপুর ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে ২৪ নভেম্বর দুর্গাপুর ব্যারাজের ১ নম্বর লকগেটে ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল গোটা দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। সেই ঘটনার তিন বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। এবার ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে করে হু হু করে বেরোচ্ছে জল। এই ঘটনার জেরে ফের জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে দুর্গাপুর শহর জুড়ে। শিল্পাঞ্চল জল সরবরাহ হয় এই দুর্গাপুর থেকেই। অভিযোগের আঙুল উঠেছে সেচ দফতরের দিকেই।
আরও পড়ুন-গুরুং প্রকাশ্যে আসতেই বদলেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক পটচিত্র, পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে মমতা
জানাগেছে, শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে জল বার হতে শুরু করে। ব্যারাজ জলশূন্য হলে শিল্প উৎপাদনে মার খাবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। ঘটনার পর ব্যারাজ পরিদর্শন করতে যান মেয়র দিলীপ অগস্তি, বিধায়ক সন্তোষ দেব রায়, বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল। পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। তিনি বলেন, ব্যারাজকে জলশূন্য করে লকগেট সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি লকগেট দিয়ে জল বার করা হচ্ছে। জেলাশাসকের অবশ্য় দাবি, ব্যারাজ জলশূন্য হলেও পানীয় জলের কোনও সমস্যা হবে না। কারন সমস্ত ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সেচ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ৩১ নম্বর লকভাঙা একটি দুর্ঘটনা মাত্র।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে লাগাতার জল ছাড়ার জেরে বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা তৈরি করা হয়েছে। যদিও, প্রশাসনের দাবি, এরকম কোনও আশঙ্কা নেই। পাশাপাশি, ইস্পাত নগরীর বাসিন্দাদের জল অপচয় বন্ধ রেখে জলের ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।