সংক্ষিপ্ত
দোল ও হোলি দু'দিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবের পরিবেশ দেখা গিয়েছিল। একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়িতে হোলির দিনে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল।
রং-এর উৎসবে ঢেলে বিক্রি মদের। এক ধাক্কায় গত বছরের তুলনায় বিক্রি বাড়ল ৩৫ শতাংশ। দোল ও হোলি এই দু'দিনে রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে মদের বিক্রি। ব্যবসায়ীদের মতে গত বছরও এই বিক্রির অংকটা ছিল ২০০ কোটি টাকা। সেখান থেকে এই বছর হোলি ও দোলে মদের বিক্রি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। উৎসবের মরশুমে এই বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। উল্লেখ্য গত দু'বছর করোনার কারণে একাধিক বিধিনিষেদে কেটেছে উৎসব। দোল ও হোলির ক্ষেত্রেও ছিল নানা নিষেধাজ্ঞা। এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে উঠেছিল রা্যবাসী। দোল ও হোলি দু'দিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবের পরিবেশ দেখা গিয়েছিল। একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়িতে হোলির দিনে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল।
গত দু'বছর করোনার কারণে হোলি ও দোলে মদের দোকান খোলা থাকলেও সেক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ছিল। এই বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছিল মদের বিক্রির উপরও। কিন্তু এবছর কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় মদের দোকানগুলিতে। উল্লেখ্য, দোলের দিন মঙ্গলবার ব্ল্যাক ডে হওয়ায় বন্ধ ছিল সমস্ত মদের দোকান। সেই কারণে সোমবার সকাল থেকেই মদের দোকানগুলিতে প্রব্ল ভিড় দেখা যায়। একই দৃশ্য দেখা যায় বুধবার সকাল থেকেও। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যালকোহলিক বেভারেজ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবছর মদের বিক্রি ভাল হয়েছে। হোলি ও দোল দু'দিনই রাজ্যে ঢেলে বিক্রি হয় মদ।
কলকাতার গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউর একটি দোকানের এক মদ বিক্রেতা জানিয়েছেন, সোমবার রাতের মধ্যেই তাঁর ৮০ শতাংশ স্টক শেষ হয়ে গিয়েছিল। দোলের দিন দোকান বন্ধ থাকায় ক্রেতারা সোমবার সকাল থেকেই মদ কিনেছিল। আবার বুধবার হোলি উপলক্ষ্যে ভিড় বাড়তে থাকে দোকানে। বুধবার শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি বড় হোলির অনুষ্ঠান হয়েছে। জানা যাচ্ছে মোট বিক্রির প্রায় ৫০ শতাংশই ছিল বিয়ার। তারপরে সবচেইয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ভদকা। তবে এবার ভাটা পড়েছে বার, লাউঞ্জ এবং নাইটক্লাবগুলির মদ বিক্রিতে।
আরও পড়ুন -
বিয়ের মরশুমে সোনার দাম কমতেই দোকানে ভিড় বাড়ছে মধ্যবিত্তের, জেনে নিন হলমার্কের দর
আন্তর্জাতিক বাজারে ফের কমল তেলের দাম, কলকাতা-সহ দেশের অন্যান্য শহরে কি কমল পেট্রল ডিজেলের দাম?