- Home
- Business News
- Other Business
- ৮০% ভারতীয় অবসরকালীন পুঁজি শূণ্য হতে চলেছে! বিপদ এড়াতে মাসে কতটা এবং কোথায় সঞ্চয় জরুরি, জানুন বিশেষজ্ঞের মত
৮০% ভারতীয় অবসরকালীন পুঁজি শূণ্য হতে চলেছে! বিপদ এড়াতে মাসে কতটা এবং কোথায় সঞ্চয় জরুরি, জানুন বিশেষজ্ঞের মত
অবসরের পর আর্থিক সঙ্কট এড়াতে, মাসিক আয়ের ১৫% সঞ্চয় করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে ৮০% মানুষের অবসরের পর সঞ্চয় ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মানুষের জীবনে সঞ্চয়ের কতটা প্রয়োজন তা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটে যাওয়া কোভিড মহামারী থেকে সকলেই বুঝতে পেরেছেন। ৮০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়র অবসরগ্রহণের পর তাঁদের সঞ্চয় ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণী এক বড়সড় অবসরকালীন এক আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে চলেছেন। সম্পদ বিশ্লেষক মোহিত বেরিওয়ালা, তাঁর লিঙ্কডিন পোস্টে দাবি করেছেন, আমরা ভবিষ্যতে আর্থিক সমস্যার কথা বলছিনা, শুধুমাত্র ভবিষ্যতের আর্থিক সঙ্কট নয় এই সমস্যা ইতিমধ্যেই প্রকট হতে শুরু করেছে।
মধ্যবর্তী শ্রেণী কতটা সঞ্চয় করে এবং তার উপার্জন বন্ধ হওয়ার পর তা কতদিন চলে, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। ইএমআই-এর বোঝা বহে বেড়ানো, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আর্থিক সঙ্কটের ঝুঁকি অনেক বেশি।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই শ্রেণীর প্রতি পাঁচজনের চারজনেরই (৮০ শতাংশ) অবসরগ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই পুঁজিশূণ্য হয়ে নিঃশ্বস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কারণ অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ভারতীয় অবসর গ্রহণের পর কোনও পেনশন থাকে না। থাকে না এই সময়ের আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর কোনও পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল।
খুব কম মানুষই আছেন যারা অবসরকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি সঞ্চয়ের কৌশল অবলম্বন করেন। ফলে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ৬০ বছর বয়সের পর, দৈনন্দিন আর্থিক যোগানের প্রয়োজন একটি আর্থিক সঙ্কটে পরিণত হয়।
কারণ যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকে, দৈনন্দিন বাড়তে থাকা খরচের ফলে তা অচিরেই ফুরিয়ে যায়। এখানে মনে রাখেত হবে, ভারতে মুদ্রাস্ফিতীর গড়, ৬.৭ শতাংশ।
এর অর্থ হল, আজ যদি আপনার বাৎসরিক খরচ ৫ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে এক দশকের মধ্যে সেই খরচ দ্বিগুণ হতে পারে। এই আর্থিক সঙ্কট থেকে বাঁচার জন্য মোহিত বেরিওয়ালা, ১৫ শতাংশের নিয়ম অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর অর্থ হল, আপনার মাসিক আয়ের ১৫ শতাংশ শুধুমাত্র আপনার অবসরকালীন মেয়াদের জন্য সঞ্চয় করা জরুরী। ইনি বিনিয়োগের ত্রিমুখী পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন।
দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য ইক্যুয়িটি মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক সুরক্ষার জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং কর সাশ্রয় ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য কর্পোরেট এনপিএস করা জরুরি। মোহিত বেরিওয়ালার মতে, অবসরকালীন সঞ্চয় পরিকল্পনা করা খুবই জরুরি একটি পদক্ষেপ। একই সঙ্গে ভালো রিটার্ন এবং সুরক্ষা প্রদান করে এমন বিমায় বিনিয়োগ করতে হবে। যা একই সঙ্গে হঠাৎ কোনও দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারকে বড় অঙ্কের টাকা দেবে। মেয়াদ শেষে ভালো রিটার্ন দিয়ে ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত করবে। এ ধরনের বিনিয়োগ অবসরকালীন সময়ে বড় অঙ্কের ফান্ড দেবে যা ভালো জায়গায় রেখে সুদ দিয়ে সংসারের খরচ চলতে পারে অনায়াসে। তাই বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে এটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবসরজীবন সুরক্ষিত করার জন্য যা প্রত্যেকের দ্রুত শুরু করা উচিত।

