সংক্ষিপ্ত
ইমি়ডিয়েট পেমেন্ট সার্ভিস (IMPS) এর মাধ্যমে ব্য়াঙ্কের অ্যাকাউন্টে ভুলভাবে জমা হওয়া টাকার ৭৯ শতাংশ বা ৬৪৯ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করেছে ব্যাঙ্ক।
UCO ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছে ৮২০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যা ঋণদাতাদের একটি ভুল হস্তান্তর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একটিকে উল্টে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অর্থাৎ টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু টাকা ফিরানো গেলেও এখনও বেশ কিছু টাকা ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইমি়ডিয়েট পেমেন্ট সার্ভিস (IMPS) এর মাধ্যমে ব্য়াঙ্কের অ্যাকাউন্টে ভুলভাবে জমা হওয়া টাকার ৭৯ শতাংশ বা ৬৪৯ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করেছে ব্যাঙ্ক। বিভিন্ন সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের প্রাপকদের অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করেছে। ৮২০ কোটি টাকার মধ্যে ৬৪৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাঙ্ক এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি যে এই ভুল শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হয়েছে নাকি মানুষের ভুল বা হ্যাকিং-এর কারণে হয়েছে। উল্লেখ্য যে IMPS প্ল্যাটফর্মটি ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) দ্বারা পরিচালিত হয়।
IMPS হল একটি রিয়েল টাইম আন্তঃব্যাঙ্ক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম যা সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়াই ঘটে। ব্যাঙ্কটি ১৭১ কোটি টাকার হ্যালেস্ট পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেছে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। ১০-১৩ নভেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক পর্যবেক্ষণ করেছে IMPS এর প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে , অন্যান্য অন্যান্য ব্যাঙ্কের ধারকদের দ্বারা শুরু করা কিছু লেনদেনের ফলে আমাদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছ থেকে অর্থের প্রকৃত রসিদ ছাড়াই ক্রেডিট হয়েছে। ব্যাঙ্কের শেয়ার বিএসইতে ১.৫৩ শতাংশ কমে প্রতি ইউনিট ৩৯.২২ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ইউকো ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪০২ কোটি টাকা হয়েছে। যা এক বছরে আগের ত্রৈমাসিকে হয়েছে ৫০৫ কোটি টাকা। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে কলকাতা-সদর দফতরের ঋণদাতার মোট আয় বেড়ে ৫৮৬৬ কোটি রুপি হয়েছে যা আগের বছরের সময়কালে ছিল ৪৯৬ কোটি টাকা থেকে।