সংক্ষিপ্ত
রিফাইন্ড সয়াবিন অয়েলের (এক লিটার প্যাক) দাম ১৭০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১৫০ টাকায়। ধারা রিফাইন্ড রাইস ব্রানের দাম লিটার ১৯০ থেকে ১৭০ টাকায় নেমে এসেছে।
মুদ্রাস্ফীতির যুগে রান্নাঘর থেকে এসেছে স্বস্তির খবর। সরকারের আবেদনের পর ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম কমিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ভোজ্য তেলের দাম কমার মধ্যে মাদার ডেইরি 'ধারা' ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হওয়া ভোজ্য তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) প্রতি লিটারে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমিয়েছে। ফরচুন, জেমিনির মতো তেলের ব্র্যান্ডের তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধারা দাম কমিয়েছে সয়াবিন তেল, চালের তুষের তেল, সূর্যমুখী তেল এবং চীনাবাদাম তেলের ওপর। দাম কমার পর ধারা রিফাইন্ড সয়াবিন অয়েলের (এক লিটার প্যাক) দাম ১৭০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১৫০ টাকায়। ধারা রিফাইন্ড রাইস ব্রানের দাম লিটার ১৯০ থেকে ১৭০ টাকায় নেমে এসেছে। ধারা পরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের দাম লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। একইভাবে, ধারা চিনাবাদাম তেলের দাম লিটার প্রতি ২৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ২৪০ টাকা করা হয়েছে।
এসব কোম্পানিও দাম কমিয়েছে
ধারা ছাড়াও আরও কয়েকটি কোম্পানি দাম কমিয়েছে। তেল ব্র্যান্ড ফরচুনস এবং জেমিনি এডিবল অ্যান্ড ফ্যাটস ইন্ডিয়া তাদের তেল ব্র্যান্ড জেমিনির দাম প্রতি লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২ মে চিনাবাদাম তেলের দাম লিটার প্রতি ১৮৯.৯৫ টাকা, সরিষার তেলের দাম ১৫১.২৬ টাকা, সোয়া তেলের দাম ১৩৭.৩৮ টাকা, সূর্যমুখী তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪৫.১২ টাকা।
মনে করা হচ্ছে ধারা ব্র্যান্ডের নতুন MRP-এর ভোজ্য তেল আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে আসবে। অন্যদিকে, আদানি উইলমার এবং জেমিনির তেলের দাম আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কমতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দাম কমানো অবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন এমআরপি সহ ধারার তেল আগামী সপ্তাহে বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রক ভোজ্য তেল শিল্প সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (SEA) কে রান্নার তেলের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আগামী ত্রৈমাসিকে ভোজ্য তেলের দাম আরও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এসইএ ডিরেক্টর বিভি মেহতা জানিয়েছেন, তেলের দাম আগামী তিন মাসে আরও কমতে পারে। এসইএ-র প্রেসিডেন্ট অজয় ঝুনঝুনওয়ালা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে বিশ্বব্যাপী তেলের দামে অনেকটা কমেছে। পাশাপাশি সয়াবিন ও সরষের ফলনও হয়েছে অনেক। ফলে দাম কমতে পারে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তৈলবীজের দাম কম হওয়ার দরুণ তেল কোম্পানিগুলির উপর দাম কমানোর চাপ তৈরি হয়েছে।