সংক্ষিপ্ত

অল্প বিনিয়োগে কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে চাইলে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা সবথেকে বেস্ট অপশন। লং টার্মে ইক্যুইটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করে ভাল রিটার্ন পেতে পারেন আপনি ৷

এই পরিস্থিতিতে কোথায়ও বিনিয়োগ করাও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই কোনও না কোনও সমস্যা। কারণ সামান্য ইনভেস্টে দ্বিগুন লাভ সকলেই চায়। কিন্তু মহাসঙ্কট পরিস্থিতিতে এখন কোনওভাবেই তা সম্ভব নয়। অগ্নিমূল্য বাজারে কেবল চাকরির উপর নির্ভর করে সেভিংস করা কখনওই সম্ভব হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে এই স্কিমে বিনিয়োগ করে। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন সকলেরই রয়েছে। শুধু একটু বুদ্ধি করে ঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করলেই আপনিও হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি।

কোটিপতি হতে গেলে ঠান্ডা মাথায় সবার আগে একটা প্ল্যান বানিয়ে নিতে হবে। যেখানে টাকা ইনভেস্ট করলে আপনার টাকাও যেমন সুরক্ষিত থাকবে ঠিক তেমনই আবার ভালও রিটার্নও পাওয়া যাবে। আর অল্প বিনিয়োগে কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে চাইলে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা সবথেকে বেস্ট অপশন। লং টার্মে ইক্যুইটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করে ভাল রিটার্ন পেতে পারেন আপনি ৷ প্রতিদিন মাত্র ৩৩ টাকা সেভিংস করেই আপনি হতে পারবেন কোটিপতি। কিন্তু কীভাবে ইনভেস্ট করবেন, জেনে নিন বিশদে।

অনেকেরই একটি ধারনা রয়েছে যে সারা জীবন কাজ করেও কোটিপতি হওয়া যায় না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ঠিকমতো ইনভেস্ট করলেই দ্বিগুণ টাকা লাভ করা যায়। লম্বা সময়ের ইক্যুইটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনেক বেশি রিটার্ন দিয়ে থাকে ৷ সেই কারণেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এসআইপি তে ইনভেস্ট করা অনেক বেশি লাভজনক ৷ এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ইনভেস্ট করতে পারলেই তার উপরে আপনি পেয়ে যেতে পারেন ভাল অঙ্কের রিটার্ন ৷ তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করার আগে আপনার আর্থিক পরিস্থিতি এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নেওয়া দরকার। বেশিদিনের জন্য ইনভেস্ট করাটাই অনেক বেশি লাভজনক। ধরুন যদি আপনার বয়স ২০ বছর হলে তাহলে প্রতিদিন ৩৩ টাকা করে অর্থাৎ মাসে প্রায় ১০০০ টাকা সেভিংস করলেই ৪০ বছর পর আপনি ১.১৮ কোটি টাকার মালিক হবেন। এবং লং টার্মে বছরে ১২ শতাংশ করে রিটার্ন মিললে কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন ৷ সম্প্রতি দেখা গেছে, ২০ বছরে বেশ কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইনভেস্টরদের ১২ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে ৷ তবে আপনাকে আপনার ইনভেস্টমেন্টের উপর নজর রাখতে হবে ৷ প্রত্যেক ৬ মাস অন্তর কিংবা ১ বছর পর পর তা খতিয়ে দেখতে হবে ৷ যদি দেখেন ইনভেস্টমেন্টের ভ্যালু বাড়ছে তাহলেই তা চালু রাখুন ৷ আর যদি ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট না হন তাহলে অন্য খাতেও ইনভেস্ট করতে পারেন ৷