সংক্ষিপ্ত
জিএসটি নিয়ে বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারমণের। পাঁচ বছরে বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপুরণ দিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে।
কেন্দ্রীয় সরকার নিজের গাঁটের টাকা থেকে বকেয়া GST বা পণ্য পরিষেবা করের অর্থ মিটিয়ে দেবে । জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। শনিবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়। তারপরই নির্মলা সীতারমণ এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সরকার নিজের পকেট থেকেই ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেবে। অর্থাৎ বকেয়া জিএসটির টাকা দিয়ে দেবে। নির্মলা এই ঘোষণার মাধ্যমেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে নিলেন।
পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যেই বকেয়া জিএসটির দাবিতে সরব হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী জিএসটি ইস্যুতে একাধিকবার নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর নির্মলা বলেন, 'আমরা আজ ঘোষণা করছি যে জিএসটি ক্ষতিপুরণের মুলতুবি থাকা ব্যালেন্সের সম্পূর্ণ বকেয়া আজকেই সাফ হবে যাবে।' জিএসটি ক্ষতিপুরণের মোট বয়েকা ছিল ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যদিও এই পরিমাণটি প্রকৃতপক্ষে আজ পর্যন্ত ক্ষতিপুরণ তহবিলে পাওয়া যায় না। আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্থা থেকে এই পরিমাণ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই পরিমাণ অর্থ ভবিষ্যতে সেস সংগ্রহ থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে। নির্মলা আরও বলেন পাঁচ বছরের বকেয়া অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে।
২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর চালু করেছিল। এই আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির প্রাপ্য শুল্কের একটা পরিমাণ সরাসরি কেন্দ্রের কাছে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তারজন্য রাজ্যগুলির যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপুরণ দেবে বলেও স্থির হয়েছিল। কিন্তু বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যের অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি ক্ষতিপুরণের টাকা দিচ্ছে না। বিজেপি বিরোধী শাসকদলের আভিযোগ, অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না বা ক্ষতিপুরণের টাকা দিতে গড়িমসি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শনিবারেক বৈঠকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে পাঁচ বছরের বকেয়া টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে দেবে।
অন্যদিকে এদিন একই সঙ্গে বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বা কমানো হয়েছে। গুড় বা গুড় জাতীয় খাবারের ওপর আগে ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছিল। এবার জিএসটি প্রত্যাহার করা হল। পেনসিল কাটারের ওপর জিএসটি কর ১৮ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। ট্যাকিং ডিভাইসের ওপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।