সংক্ষিপ্ত
ইউরোপের একাধিক মাল বোঝাই জাহাজ রাশিয়ার বন্দরগুলিতে আসা যাওয়া করছে। গোপনে রাশিয়া থেকে তেল , গ্যাস কিনছে ইউরোপের দেশগুলি।
রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও ভারত প্রকাশ্যেই জানিয়েছে দেশের মানুষের সুবিধার্থে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল, গ্যাস আর সার কেনা হবে। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদ করা হবে না। কিন্তু ভারত এটাও জানিয়ে দিয়েছিল এই দেশ কখনই যুদ্ধ চায় না। বরাবরই শান্তির পক্ষে। রাশিয়া-ইউক্রেন- দুই দেশকে আলোচনার আর পর্যালোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি স্থাপনের জন্য জোর দিয়েছে। কিন্তু ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু রাখায় ইউরোপের একাধিক দেশ কেন্দ্রের মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করছে। যাইহোক শুধু ভারত নয়, দিন কয়েক আগে পাকিস্তানও রাশিয়া থেকে সস্তার তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুন মাসেই সেদেশে ঢুকবে রাশিয়ার তেল বোধাই কন্টেনার। ভারত বা পাকিস্তান নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশও রাশিয়ার থেকে তেল, গ্যাস , সার এমনকি হিরাও এখনও কিনে যাচ্ছে। রইল তারই তালিকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের মার্চে। কিন্তু এখনও ইউরোপের একাধিক মাল বোঝাই জাহাজ রাশিয়ার বন্দরগুলিতে আসা যাওয়া করছে। এবার আসি হিসেব নিকেশ। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি- অর্থাৎ যুদ্ধের এই ১০ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রায় ১৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাশিয়ান সামগ্রী কিনেছে। শুধু তাই নয় ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে রাশিয়ার গ্যাস বা তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে ইউরোপের দেশগুলি।
২০২১ সালে ইউরোপ ১৬ বিলিয়ন কিউবিক মিটার রাশিয়ান গ্যাস কিনেছিল। আর যুদ্ধের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ২২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার রাশিয়ান গ্যাস কিনেছে ইউরোপের দেশগুলি। গত বছর ইউরোপীয় দেশগুলির ৮১৪,০০০,০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের নিউক্লিয়ার প্রোডাক্ট রাশিয়া থেকে আমদানি করেছিল। শুধু তাই নয় রাশিয়ার থেকে ইউরোপ সার আর হিরে আমদানিও বন্ধ করেনি। ২০২২ সালে রাশিয়া থেকে ১.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হিরে আমদানি করা হয়েছিল। ২০২২ সালে সারের জন্য খরচ করেছিল ২.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে এটাই শেষ নয়, একাধিক রাশিয়ার সংস্থা রয়েছে যেগুলি ইউরোপে চুটিয়ে কাজ করছে। কিন্তু তলেতলে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের একাধিক দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু রেখে গেলেও ভারতের সমালোচনা করা হচ্ছে। ভারত যা করছে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেই করছে। ইউরোপের দেশগুলির মত গোপনে কোনও কাজ করছে না।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া একাধিকবার পরমাণু হামলারও হুমকি দিয়েছে। তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, শেষ সম্বল পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা লড়াই করে যাবে।
health tips for summer: এই গরমকালে কুঁজোর জল পান করুন, জানুন মাটির পাত্রে রাখা জলের চারটি উপকার
'বিজেপি যা বলে আপনি তই বলেন কেন?', আবারও সাংবাদিককে ধমক রাহুল গান্ধীর - দেখুন ভিডিও
অরুণাচল নিয়ে চিনের গা-জোয়ারির কড়া জবাব ভারতের, ১১টি স্থানের নাম পরিবর্তন বেজিং-এর