- Home
- Business News
- Other Business
- Gautam Adani: গৌতম আদানির সাম্রাজ্যের আকাশে কালো মেঘ, হু হু করে কমছে সম্পদের পরিমাণ
Gautam Adani: গৌতম আদানির সাম্রাজ্যের আকাশে কালো মেঘ, হু হু করে কমছে সম্পদের পরিমাণ
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি থেকে পতন
গৌতম আদানি ১৭ জানুয়ারি বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তির তালিকা থেকে সরে গেলেন। ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ২০ নম্বের মধ্যেও তাঁর ঠাঁই হল না। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর থেকেই খারাপ সময় যাচ্ছে গৌতম আদানিদের।
আদানির সম্পর্দ হ্রাস
গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ সালে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র ১৭ দিনে অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়ে ৬১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট
গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট। সেখানে দাবি করা হয়েছিল স্টক ম্যানিপুলেশ ও অ্যাকাউন্টিং জালিয়ানির কারণ এই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন আদানিরা। রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানি গ্রুপের সম্পদের পরিমাণ ১০৮ বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে।
ধনী বিশ্বের গৌমতের স্থান
২৪ জানুয়ারি থেকেই আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে গৌতম আদানির সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইসের। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচকে বর্তমান ধনী বিশ্বে তাঁর স্থান ২১ তম ।
১ নম্বর ধনী ছিলেন গৌতম আদানি
গত বছর থেকেই ধনী বিশ্বের তালিকায় উঠতি নাম ছিল গৌতম আদানির। এই দেশে মুকেশ আম্বানি আর গৌতম আদানির সম্পদের টক্কর ছিল। কিন্তু এখন নিজের স্থান হারিয়েছেন গৌতম আদানি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিশানায় আদানি এন্টারপ্রাইস
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া আদানি গোষ্ঠীর কাছে ঋণদাতাদের এক্সপোজার সম্পর্কে বিষদে জানতে চেয়েছে। তার ঠিক এক দিন পরেই সংস্থাটি ২০ হাজার কোটি টাকার ফলো-অন শেযার প্রত্যাহার করেছ নিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও।
এসবিআই-এর মন্তব্য
অন্যদিকে আদানি গোষ্ঠীর এক্সপোজার নগদ উৎপন্ন সম্পদ দ্বাা সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত বলে জানিয়েছে এসবিআই। অন্য একটি পাবলিক সেক্টর ঋণদাতা ব্যাঙ্ক অফ বরোদা বলেছে যে বিরোধিত গোষ্ঠীর কাছে তার মোট এক্সপোজার ছিল সাত হাজার কোটি টাকা, যা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
নজরদারিতে আদানিদের সংস্থা
ইতিমধ্যে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি আদানি স্টক, যথা, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস এবং অম্বুজা সিমেন্টকে অতিরিক্ত নজরদারি পরিমাপ (ASM) কাঠামোর অধীনে রেখেছে। একটি অতিরিক্ত নজরদারি ব্যবস্থা (ASM) চালু করা হয়েছিল।
সেবির নজরে আদানি
ভারতীয় বাজার নিয়ন্ত্রক SEBI এবং পুঁজিবাজারগুলি অত্যন্ত উদ্বায়ী স্টকগুলিকে নিরীক্ষণের জন্য একটি ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি হিসাবে। ASM-এর অধীনে রাখা হলে, সমগ্র লেনদেন করা মান মার্জিন হিসাবে ব্লক হয়ে যাবে, অর্থাৎ ইন্ট্রাডে লিভারেজ দেওয়া হয় না।
আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ
অন্যদিকে আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। বিরোধীরা আদানিকাণ্ড নিয়ে সংসদে আলোচনা চায়। পাশাপাশি যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় নারাজ কেন্দ্র। কারণ মোদী ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত ধনকুবের গৌতম আদানি।