প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী, জিএসটিতে বড় সংস্কার আসছে। ৫% এবং ১৮% দুটি স্ল্যাব লাগু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। খাদ্য ও বস্ত্র ৫% স্ল্যাবের আওতায় আসতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে GST সংস্কারের ঘোষণা করেন। এতে দুটি জিএসটি স্ল্যাব হবে যেমন ৫% এবং ১৮% লাগু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০ এবং ২১ অগাস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠীর (GoM) বৈঠকে ১২% এবং ২৮% জিএসটি স্ল্যাব বাতিল করায় কেন্দ্রের প্রস্তাবকেও অনুমোদিত করা হয়। এখন এই বিষয়ে একটি বড় আপডেট এসেছে। তথ্য অনুসারে, সরকার টেক্সটাইল এবং খাদ্য প্রডাক্টকে ৫ শতাংশ করের স্ল্যাবের মধ্যে আনার কথা বিবেচনা করছে।
আগামী ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকও হতে চলেছে। আর তার আগে ২ সেপ্টেম্বর জিএসটি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
নেক্সট জেনারেশন জিএসটি সংস্কারের আওতায়, সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা কমাতেই এবার খাদ্যদ্রব্য এবং বস্ত্র ৫% স্ল্যাবের আওতায় আনা হতে পারে। টিওআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সরকার কিছু সাধারণভাবে ব্যবহৃত পরিষেবার উপর জিএসটি হারও মূল্যায়ন করছে যাতে সেগুলি ১৮% থেকে ৫% এ কমানো যায় কিনা। বলা হচ্ছে যে আগামী মাসের গোড়ার দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া সিমেন্ট এবং অন্য কিছু বস্তু ও সেলুন-বিউটি পার্লারের মতো গণ-ব্যবহারের পরিষেবা সহ আরও অনেক পণ্যের উপর জিএসটি কমানোর পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বর্তমানে, ছোট সেলুনগুলি জিএসটি থেকে মুক্ত, তবে মাঝারি এবং হাই ক্যাটাগরির সেলুনগুলিতে ১৮% হারে জিএসটি নেওয়া হয়, যার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের উপর সরাসরি বোঝা চাপানো হয়। রিপোর্ট অনুসারে, সিমেন্টের উপর জিএসটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের বিস্তারিত এজেন্ডা এবং স্থান এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, অর্থ মন্ত্রকের মতে, জিএসটির নতুন কাঠামো কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের আয়ের উপর প্রভাব ফেলবে। জিএসটি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ফিটমেন্ট কমিটি এই ক্ষতির একটি খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্র অনুসারে, কেন্দ্রের লক্ষ্য দুর্গাপুজো ও দীপাবলি উৎসবের আগেই জিএসটি হার হ্রাস বাস্তবায়িত করা। এই বছর দীপাবলি ২১ অক্টোবর উদযাপিত হবে এবং জিএসটি সংস্কারের দিকে সরকারের এই পদক্ষেপ গ্রাহক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বস্তির উপহার হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আরও বলেছিলেন যে সরকার পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনবে, যা সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা কমাবে।


