- Home
- Business News
- Other Business
- High Pension Investment Plan: প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা করে পেনশন! কিন্তু কীভাবে?
High Pension Investment Plan: প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা করে পেনশন! কিন্তু কীভাবে?
High Pension Investment Plan: মাসিক ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে অবসরকালে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া সম্ভব। ২৫ বছর বয়স থেকেই SIP-তে বিনিয়োগ করলে চক্রবৃদ্ধি সুদের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করা যায়।

বার্ধক্যকালীন জীবনের জন্য পেনশন অপরিহার্য
মাসিক কম পরিমাণ বিনিয়োগ করে বেশি পেনশন পাওয়া গেলে সেই ধরনের योजना বাছাই করা জরুরি। মাসিক হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বেশি লাভ করলে ভালোই। সঠিক পরিকল্পনা করে মাসিক ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে অবসরকালে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যাবে।
১০ হাজার বিনিয়োগই যথেষ্ট
২৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি SIP-তে মাসিক ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। বার্ষিক এই টাকার পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে লার্জ ক্যাপ ফান্ড, মাল্টি ক্যাপ ফান্ড, ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড, মাল্টি অ্যাসেট ফান্ডে প্রতিটিতে ২,৫০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে।
৬০ বছরে ১১ কোটি টাকা হাতে
এই বিনিয়োগে বার্ষিক গড়ে ১২% রিটার্ন পাওয়া যাবে বলে ধরে নেওয়া যাক। এই হিসেবে ৩০ বছর বয়সে ব্যক্তির কর্পাসের মূল্য ৯.২৫ লক্ষ টাকা হবে।
মাসিক ৪ লক্ষ টাকা পাবেন
একইভাবে ৩৫ বছর বয়সে ২৯.৮ লক্ষ টাকা হবে। এই টাকার পরিমাণ ৪০ বছর বয়সে ৭২ লক্ষ টাকা এবং ৪৫ বছর বয়সে ১.৫৪ কোটি টাকা হবে। এখনই চক্রবৃদ্ধি সুদের ফল বিনিয়োগকারী পেতে পারবেন। কারণ বিনিয়োগকারীর ৫০ বছর বয়সে ৩.১১ কোটি টাকা, ৫৫ বছর বয়সে ৬ কোটি টাকা এবং ৬০ বছর বয়সে ১১.৩ কোটি টাকা কর্পাস হবে।
সঠিক পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা জরুরি
বিনিয়োগের টাকার পরিমাণ ৬০ বছর বয়সে ১১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা হবে, এখন ৪% উত্তোলনের নিয়ম SWP-র মাধ্যমে চালিয়ে যেতে পারেন। ৪% নিয়ম হল অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি তার বিনিয়োগের মোট মূল্যের ৪% বার্ষিক উত্তোলন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে কেউ অবসর কালে তার প্রয়োজনীয় অর্থ পেনশনের মতো পেতে পারবেন।
৪০ বছর বয়সেও যোগ দিতে পারবেন
মোট টাকার হিসেব করে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করলে তা আমাদের অর্থের প্রয়োজন পূরণ করবে। ১১.৩ কোটি টাকার ৪% হল ৪৫.২ লক্ষ টাকা। এই টাকা মাসিক হিসেবে ৩.৭৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে অবসর কালে জীবনের শেষ ভাগ আনন্দের সাথে কাটানো যাবে।
আগে থেকেই শুরু করুন
৪%-এর মধ্যে প্রয়োজন পূরণ করা গেলে ৪% নিয়ম প্রযোজ্য। এটি প্রতিটি বিনিয়োগকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। তাই প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা করা অবসর কালে শান্তিতে জীবন যাপনে সাহায্য করবে। তদুপরি, বিনিয়োগকারীরা যুবক কালে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করলে বৃহৎ কর্পাস তৈরি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৪% নিয়ম সঠিকভাবে কার্যকর হতে পারে।
ছোট বিনিয়োগ বড় লাভ
কেউ যদি ৪০ বছর বয়সে অবসর কালের জন্য বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে তিনি ১ কোটি টাকা কর্পাস হিসেবে জমা করতে পারবেন। তখন ৪% নিয়ম অনুযায়ী তিনি বার্ষিক ৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অর্থাৎ মাসিক ৩৩,৩৩৫ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ২০ বছর পর অবসর কালে এই টাকা যথেষ্ট হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
যুবক কালেই বিনিয়োগ শুরু করলে চক্রবৃদ্ধি সুদের (Power of Compounding) ফল ভালোভাবে পাওয়া যায়
এর মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবেলা করার মতো বড় কর্পাস তৈরি করা যায়। আপনার ছোট টাকার বিনিয়োগও অবসর কালে অনেক বড় হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ দেরিতে শুরু করলে অনেক বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। চক্রবৃদ্ধি সুদের ফল কম হবে। তাই সঠিক পরিকল্পনা করে আগে থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।
বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো
মাসিক EMI দেওয়ার মতো আমরা যদি অবসর কালের জন্য একটা ছোট টাকা আলাদা করে রাখি তা বার্ধক্য কালে আমাদের অনেক সাহায্য করবে।
Disclaimer: বাজারে বিনিয়োগ একটি ঝুঁকিসাপেক্ষ বিষয়। তাই বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

