সংক্ষিপ্ত

বরাদ্দ বাড়লেও এই মেট্রো রুটে কাজের গতি রীতিমত ধীর। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা কেএমআরসি জানিয়েছিল ভারতের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো পরিষেবা, পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডোর প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ছিল। তার আগে প্রকাশিত বাজেটে এই রাজ্যের মেট্রো প্রকল্পগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেখানে নোয়াপাড়া–বারাসত ৫২০ কোটি, এয়ারপোর্ট–নিউ গড়িয়া ৩৫০ কোটি, জোকা–বিবাদি বাগ ৩৫০ কোটি, সেন্ট্রাল পার্ক–হলদিরাম ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোয় বরাদ্দ হয় ৯০০ কোটি টাকা। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে বরাদ্দ হয় ১,১০০ কোটি টাকা। গতবারের থেকে ২০০ কোটি টাকা বেশি। রেলবোর্ডের সূত্রে জানা যায়, হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত শিগগিরই চালু হবে মেট্রো পরিষেবা। সে কারণেই বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ। তার পরের বছর অর্থাৎ এবার সেই বরাদ্দ কত বাড়ে, সেটাই দেখার।

বরাদ্দ বাড়লেও এই মেট্রো রুটে কাজের গতি রীতিমত ধীর। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা কেএমআরসি জানিয়েছিল ভারতের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো পরিষেবা, পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডোর প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৭০ শতাংশ কাজ এগোনোর পরে, তা থমকে যাওয়ায় পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন। আপাতত মাটি শক্ত রাখতে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রাউটিং। শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো পথে দূরত্ব ২.৫ কিলোমিটারের বেশি।

আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, দু'টি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ২ কিলোমিটারের বেশি হলেই স্টেশন তৈরি করতে হয়। শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের অংশে চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর পরে ফের নতুন করে কাজ শুরু হলে চূড়ান্ত অসুবিধা বা অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হবে মেট্রোকে। ফের কাজ নতুন করে শুরু হলে তা হয়ে উঠবে অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজ শেষ করতেও প্রচুর সময় লেগে যাবে। তাই বরাদ্দ জুটলেও কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ সালের জন্য বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য মোট বাজেটের পরিমাণ ছিল ১০,২৬২ কোটি টাকা। হাওড়া ময়দান এবং সল্টলেকের সেক্টর ফাইভকে সংযোগকারী ১৬.৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডোরটি সেক্টর ফাইভ স্টেশন এবং ফুলবাগানের মধ্যে আংশিকভাবে চালু রয়েছে।

আরও কয়েকটি মেট্রো রুট- বারাসত পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের কাজ চললে তাতে শম্বুকের গতি রয়েছে। বহু বাদবিবাদের পর জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে, এদিকে যাত্রী পরিবহণের অপেক্ষায় এখনও রয়েছে নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর রুটে মেট্রো পরিষেবা। ৩০ জানুয়ারি এই রুটে রুবি মোড় পর্যন্ত মেট্রোর সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। বলা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির শেষে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হবে। এটা মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বের। বলতে গেলে এই রুটের সিংহভাগ কাজ এখনও বাকি।