সংক্ষিপ্ত
দুনিয়া খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ঘরে টিভি থেকে শুরু করে রাস্তায় চলা গাড়ি, সবকিছু এখন অটোমেটেড হয়ে যাচ্ছে। আर्टিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিয়েছে। ফলে, আগামী পাঁচ বছরে চাকরির পরিস্থিতিও বড় পরিবর্তন দেখবে। আজ যেসব চাকরির ছড়াছড়ি, সেগুলো আগামীকাল নাও থাকতে পারে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এই পরিবর্তন নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। কোন সেক্টরে ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ থাকবে এবং কোন সেক্টরে চাকরি কমে যাবে? জেনে নিন।
গবেষণার চমকপ্রদ তথ্য
গবেষণা অনুসারে, পরবর্তী পাঁচ বছরে কৃষি শ্রমিক এবং ড্রাইভারদের জন্য চাকরির সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে ক্যাশিয়ার এবং টিকিট ক্লার্কের মতো চাকরিতে সবচেয়ে বেশি পতন দেখা দিতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (World Economic Forum) "ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট ২০২৫"-এ এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭০ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি হবে, কিন্তু ৯২ মিলিয়ন মানুষ তাদের চাকরি হারাতে পারে, যার ফলে মোট ৭৮ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি হবে। এই রিপোর্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভার আগে প্রকাশিত হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাকরিতে ক্ষতির হার ২২% পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
কোন সেক্টরে চাকরি বাড়বে?
কৃষি শ্রমিক: কৃষিক্ষেত্রে চাকরি বাড়ার আশা করা হচ্ছে, যার ফলে গ্রামীণ এবং ছোট এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।
ড্রাইভার এবং ডেলিভারি বয়: হালকা ট্রাক এবং ডেলিভারি ড্রাইভারদের প্রয়োজন বাড়বে, যা ই-কমার্স এবং লজিস্টিক শিল্পের সম্প্রসারণের সাথে জড়িত।
সফ্টওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার: প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র, বিশেষ করে AI, ডেটা সায়েন্স এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্টে চাকরির প্রসার ঘটবে।
নির্মাণ শ্রমিক: নির্মাণ ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য।
দোকান সহকারী: খুচরা এবং ই-কমার্সের বিকাশের সাথে সাথে দোকান সহকারীদের চাহিদাও বাড়বে।
কোন সেক্টরে চাকরি কমবে?
ক্যাশিয়ার এবং টিকিট ক্লার্ক: অটোমেটেড সিস্টেম এবং ডিজিটাল পেমেন্টের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে এই চাকরিতে ব্যাপক পতন হতে পারে।
প্রশাসনিক সহকারী এবং গৃহকর্মী: এই কাজগুলিতেও অটোমেশনের কারণে হ্রাস পেতে পারে।
রেকর্ড কিপিং ক্লার্ক এবং প্রিন্টিং কর্মী: এই ক্ষেত্রেও চাকরিতে পতন হতে পারে, কারণ প্রযুক্তিগত বিকাশ এই কাজগুলো যান্ত্রিকভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।
চাহিদা থাকবে এই দক্ষতার
ভবিষ্যতে, AI, বিগ ডেটা এবং সাইবার সিকিউরিটির মতো প্রযুক্তিগত দক্ষতার চাহিদা দ্রুত বাড়বে। একই সাথে, মানবিক দক্ষতা যেমন সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং অভিযোজন ক্ষমতা (adaptability) গুরুত্বপূর্ণ থাকবে, যা যেকোনো অটোমেশনের বাইরে। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রত্যেকেরই নিজের দক্ষতা উন্নত করার প্রয়োজন হবে।