গহনা চুরি গিয়েছে? জুয়েলারি দোকান দেবে ক্ষতিপূরণ! জেনে নিন কীভাবে
- FB
- TW
- Linkdin
সোনার গহনা পছন্দ করেন না এমন ভারতীয় মহিলা খুঁজে পাওয়া ভার। কারণ সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনার গহনা কেনা এবং ব্যবহার করা দেশগুলির মধ্যে ভারত শীর্ষে। বিয়ে, উৎসব, অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে সোনার গহনার কেনাকাটা বেশি হয়। ভারতীয়রা সোনাকে সম্পদ ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দেখেন।
ভারতের পর চীনও সোনার অন্যতম বৃহৎ ব্যবহারকারী দেশ। সোনাকে সম্পদ এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয় চীনে। বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে সোনার গহনা বেশি ব্যবহার করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলিও সোনার গহনার ব্যবসার জন্য বিখ্যাত।
ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ টন সোনা আমদানি করা হয়। বিশেষ করে উৎসব এবং বিয়ের মরসুমে সোনার গহনার বিক্রি বেশি হয়। বছরে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টন সোনার গহনা বিক্রি হয়।
এত বড় সোনার গহনার ব্যবসা হওয়া ভারতে গহনা চুরির ঘটনাও কম নয়। অনেক যুবক চুরিতে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্তির কারণে অনেকে চুরি করছে। চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে। মহিলাদের গলা থেকে সোনার গহনা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা আহত হচ্ছেন। কখনও কখনও প্রাণও হারাচ্ছেন।
বাড়িতে রাখা সোনার গহনাও চুরি হচ্ছে। বিশেষ করে তালাবন্ধ বাড়িগুলিকেই চোরেরা টার্গেট করে। এই ধরনের চুরিতে হারিয়ে যাওয়া গহনার জন্য জুয়েলারি দোকানের মালিকই টাকা দেবেন। এর জন্য আপনাকে কেনা গহনার বীমা করাতে হবে। সোনার গহনারও বীমা হয়, অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, বীমা হয়। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি জানেন না।
চুরি হওয়া গহনার জন্যই নয়, বন্যা, ঝড়, সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও আপনার সোনার গহনা হারালে এই বীমা কাজে লাগবে। তবে এই বীমা সুবিধা সব সোনার দোকানেই পাওয়া যায় না। ললিতা জুয়েলারি, তানিষ্কের মতো বড় দোকানগুলিতেই পাওয়া যায়। গহনা কেনার আগে দোকানে বীমা সুবিধা আছে কিনা যাচাই করে নিন। বীমা সুবিধা দেওয়া দোকানের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই যাচাই করে নেওয়াই ভালো।
আপনার সোনার গহনা চুরি হলে বা ছিনতাই হলে তাড়াতাড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করুন। পুলিশ তদন্ত করে একটি চিঠি দেবে। এই দুটি নিয়ে আপনি যে দোকান থেকে গহনা কিনেছিলেন সেখানে গেলে বীমার নিয়ম অনুযায়ী দোকানের মালিক আপনার হারিয়ে যাওয়া গহনার দাম ফেরত দেবেন। গহনা কেনার সময় এই বীমা সুবিধা নেওয়ার কথা মনে রাখবেন।