মুকেশ আম্বানি এদিনের সম্মেলনে স্বীকার করেন, জিও পথচলা শুরু করেছিল বাংলা থেকেই । তিনি দাবি করে বলেন, যা এখন দেশের মধ্যে একনম্বরে। বাংলায় জিও স্টোর রয়েছে ১৩০০ টি। রিলায়েন্স কর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আগামী বছর আরও ৪০০ স্টোর হবে ।
কলকাতায় শুরু হয়েছে অষ্টম বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ৪০টি দেশের ২০০ জনের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি বাংলাকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় সুখবর শুনিয়েছেন।বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর কোম্পানি রিলায়েন্স বাংলায় তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ করবে। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে তিনি বাংলায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রাজ্যের অর্থনীতিতে নতুন গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মুকেশ আম্বানি তাঁর বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলার জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মা কালী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সুভাষচন্দ্র বসু, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, "বাংলার মাটি থেকেই বিভিন্ন সময়ে নবজাগরণের ডাক এসেছে।" তিনি আরও বলেন, "বিশ্বের কোনও শক্তি বাংলার পুনরুত্থান আটকাতে পারবে না।"এদিন বেশিরভাগ সময়টাই মমতাদিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন আম্বানি।
এদিন এই ধনকুবের বাংলায় দ্বিগুণ বিনিয়োগের ঘোষণা করে জিও মোবাইল নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রতে জোর দেওয়ার কথা বলেন। তিনি ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেন, এখানেই তৈরি হবে এআই ডেটা সেন্টার। একইভাবে বললেন, কালীঘাট মন্দির সংস্কারের আর্থিক সাহায্যের কথাও।
মুকেশ আম্বানি এদিনের সম্মেলনে স্বীকার করেন, জিও পথচলা শুরু করেছিল বাংলা থেকেই । তিনি দাবি করে বলেন, যা এখন দেশের মধ্যে একনম্বরে। বাংলায় জিও স্টোর রয়েছে ১৩০০ টি। রিলায়েন্স কর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আগামী বছর আরও ৪০০ স্টোর হবে । এর পাশাপাশি এআই রেডি ডেটা সেন্টার হবে। দিঘায় হবে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন।
উৎপাদন শিল্পে বাংলায় জোয়ার আনতে তিনি সৌর বিদ্যুৎ তৈরির উপর জোর দেওয়ার বার্তা দিয়ে বলেন, সোনার বাংলার জন্য সোলার বাংলা তৈরিই লক্ষ্য রয়েছে রিলায়েন্সের।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মুকেশ আম্বানির এই ঘোষণা রাজ্যের যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং সামগ্রিকভাবে বাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
