সংক্ষিপ্ত
তপতী ঘোষ আরও বলেছেন যে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে স্ল্যাবের হারে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অতএব, করদাতাদের জন্য কিছু করছাড় দেওয়া দরকার, যারা সর্বোচ্চ করের হার ৩০% তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে।
মহামারীর পরে অর্থনীতির গতি যেমন ধীর হয়ে গিয়েছিল, তেমনই ধীরে ধীরে এখন বৃদ্ধির পথে ফিরে আসছে, কর বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-এ আয়কর স্ল্যাবের হারে কিছু পরিবর্তন আশা করছেন, বিশেষ করে উচ্চ কর স্ল্যাবগুলির জন্য বিশেষ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
Deloitte উচ্চ কর স্ল্যাবের আয়করদাতাদের জন্য করে বড় ছাড় অপেক্ষা করছে। ডেলয়েট তাদের বাজেট রিপোর্টে একথা জানিয়েছে। আয়কর বিশেষজ্ঞ তপতী ঘোষ বলেছেন, “বর্তমান আয়করের নিয়ম অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে স্ল্যাবের হারের ভিত্তিতে কর দিতে হয়। পাঁচ কোটি টাকার উপরে আয়ের জন্য ভারতে সর্বোচ্চ স্ল্যাব হার (সারচার্জ এবং সেস সহ) বর্তমানে ৪২.৭৪৪ শতাংশ।'
তপতী ঘোষ আরও বলেছেন যে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে স্ল্যাবের হারে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অতএব, করদাতাদের জন্য কিছু করছাড় দেওয়া দরকার, যারা সর্বোচ্চ করের হার ৩০% তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে।
ট্যাক্স স্ল্যাব হারের সংশোধন নিম্নরূপ হওয়া উচিত
ডেলয়েটের মতে, ২০২৩ সালের বাজেটে ট্যাক্স স্ল্যাব হারের সংশোধন নিম্নরূপ হওয়া উচিত:
২০ লক্ষ টাকার উপরে আয়ের জন্য, করের হার বর্তমান ৩০% থেকে কমিয়ে ২৫% করা উচিত।
১০-২০ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে আয়ের জন্য, করের হার বর্তমান ৩০% থেকে কমিয়ে ২০% করা উচিত।
নতুন কর ব্যবস্থায়, ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের জন্য স্ল্যাবের হার বিদ্যমান ৩০% থেকে কমিয়ে ২০% করা উচিত।
২০ লক্ষ টাকার উপরে আয়ের জন্য, নতুন ব্যবস্থার অধীনে করের হার বর্তমান ৩০% থেকে কমিয়ে ২৫% করতে হবে।
এছাড়াও অর্থনীতিবিদরা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ -এর বাজেট পয়লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখে অর্থমন্ত্রী সংসদে পেশ করবেন।
ক্রয় ক্ষমতার উপর সরাসরি প্রভাব
জানা গিয়েছে এবার সরকার ৩০% স্ল্যাবে আসা করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি সরাসরি তাদের ক্রয় ক্ষমতা প্রভাবিত করবে। এবার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ আয়করের হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি আয়করের সর্বোচ্চ কর হারের সীমা ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ করারও দাবি জানানো হয়েছে।