সংক্ষিপ্ত
বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ।
মঙ্গলবার, সামান্য উঠল শেয়ার সূচক। প্রায় এক সপ্তাহের টানা পতনের পর, ফের একবার লাভের মুখ দেখল বাজার। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, মাত্র ২৪০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স। এদিন বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সূচক বাড়তে শুরু করে। তবে সেই উর্ধ্বগতি জোরালো হলেও বাজার বন্ধের সময় তার প্রতিফলন খুব একটা বেশি দেখা গেল না।
মঙ্গলবার, বাজার খোলার পর থেকেই দ্রুত গতিতে ছুটতে শুরু করে শেয়ার সূচক। যা দেখে আশায় বুক বাঁধেন বিনিয়োগকারীরা। তবে সকালের দিকে সেনসেক্স সূচক ১০০০ পয়েন্ট পেরিয়ে গেছিল। মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ৭৭,৫৭৮.৩৮ পয়েন্টে গিয়ে থেমে যায় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)।
সকালে যখন খুলেছিল, তখন ছিল ৭৭,৫৪৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ, ২৩৯.৩৮ পয়েন্ট উঠেছিল সেনসেক্স। যা প্রায় ০.৩১%। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮,৪৫১.৬৫ পয়েন্টে উঠেছে সূচক।
এদিকে একই ছবি ধরা পড়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)। সকালের শুরুতে সূচক উঠলেও দিনের শেষে নিফটি পৌঁছয় ২৩,৫১৮.৫০. পয়েন্টে। ফলে, ০.২৮ শতাংশ উত্থান দেখা গেছে। এনএসইতে ৬৪.৭০ পয়েন্ট বেড়েছে সূচক। দিনের শুরুতে নিফটি দাঁড়িয়েছিল ২৩,৫২৯.৫৫ পয়েন্টে। আর দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩,৭৮০ পয়েন্টে উঠেছিল গ্রাফ। মঙ্গলবার, একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্টকে মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ করা গেল।
এমনিতে, গত বেশকিছু দিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতীয় শেয়ার মার্কেটে। পরপর ট্রেডিং সেশনে পতন হয়েছে মার্কেটে। গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আর কখনও টানা এত দিন পতনের সাক্ষী হয়নি শেয়ার বাজার। ব্রোকারেজ ফার্মগুলি দাবি করছে, গত কয়েকদিনে তথ্যপ্রযুক্তি এবং ধাতুসংকর সংস্থাগুলির স্টকে লগ্নিকারীদের সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে।