Soham Parekh Moonlighting: ভারতীয় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সোহম পারেখ একাধিক স্টার্টআপে একইসঙ্গে কাজ করার অভিযোগে সিলিকন ভ্যালিতে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
Soham Parekh Moonlighting: ভারতীয় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সোহম পারেখ কার্যত, বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। গোপনে বিভিন্ন স্টার্টআপে একাধিক ফুল-টাইম চাকরি করার অভিযোগে সিলিকন ভ্যালিতে রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা টেক জগতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। একাধিক উদ্যোগপতি, বিনিয়োগকারী এবং ইঞ্জিনিয়াররা এই ঘটনায় যথেষ্ট অবাক।
সোহম পারেখের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?
অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্ম মিক্সপ্যানেলের প্রতিষ্ঠাতা সুহাইল দোশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্ট করেছেন। তারপর থেকেই প্রচুর আলোচনা চলছে বিষয়টি নিয়ে। তিনি দাবি করেন, সোহম পারেখ কিছুদিন মিক্সপ্যানেলে কাজ করেছেন এবং ওয়াই কম্বিনেটরের (YC) সাপোর্ট নেওয়া স্টার্টআপগুলির সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা করেছেন। তিনি পারেখের অনলাইন জীবনবৃত্তান্ত প্রকাশ করে বলেন যে, তার মধ্যে নাকি ৯০% তথ্যই ভুয়ো! এমনকি, তাঁর করা সেই পোস্টে অন্যান্য স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা এবং নিয়োগকর্তারাও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

মুনলাইটিং কেলেঙ্কারি
সোহম পারেখের বিরুদ্ধে মুনলাইটিং-এর অভিযোগ সামনে এসেছে। অর্থাৎ, একাধিক স্টার্টআপে একইসঙ্গে ফুল-টাইম চাকরি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মানে এইভাবে তিনি একইসঙ্গে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কখনও কখনও জুনিয়র ডেভেলপারদের কাজও দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার এই ঘটনা রিমোট ওয়ার্ক কালচারে অভ্যস্ত কর্মী, সেই কর্মচারীদের উপর আস্থা এবং স্টার্টআপে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও নতুন করে আলোচনার করার জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
তবে অনেকেই আবার পারেখকে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দক্ষ বলেও বর্ণনা করেছেন এবং তিনি সহজেই ইন্টারভিউয়ারদের মুগ্ধ করতে পারতেন বলে জানা গেছে। তাঁর কিছু সহকর্মীর কথায়, তিনি খুব অল্প সময়েই জটিল অনেক কাজ করে ফেলতে পারতেন। যার ফলে, তিনি উদীয়মান টেক টিমগুলিতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সেই দক্ষতাকেই প্রতারণার হাতিয়ারে পরিণত করে ফেলেন সোহম পারেখ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
সুহাইল দোশি যে জীবনবৃত্তান্ত শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে পারেখ মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর CGPA ছিল ৯.৮৩/১০, এবং জর্জিয়া টেক থেকে ২০২২ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নিঃসন্দেহে এই যোগ্যতাগুলি তাঁর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তবে বর্তমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
স্টার্টআপে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা
- ডাইনামো AI (সিনিয়র সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চুক্তি, জানুয়ারী ২০২৪ থেকে বর্তমান)
- Union.ai (সিনিয়র ফুলস্ট্যাক ইঞ্জিনিয়ার - জানুয়ারী ২০২৩ থেকে জানুয়ারী ২০২৪)
- সিনথেসিয়া (সিনিয়র ফুলস্ট্যাক ইঞ্জিনিয়ার - ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২২)
- অ্যালান AI (প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার - জানুয়ারী ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২১)
- গিটহাব (ওপেন সোর্স ফেলো - মে ২০২০ থেকে আগস্ট ২০২০)
তিনি অ্যান্টিমেটাল, ফ্লিট AI এবং মোজাইকের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে খবর।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


