সংক্ষিপ্ত

টি-বোর্ড সূত্রের খবর, প্রতি বছর বন্য বা খরার জন্য জন্য চায়ের উৎপাদন করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চায়ের উৎপাদনে ঘাটতি বাড়াচ্ছে চায়ের দাম।

 

চায়ের কাপেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছায়া! যার কারণে চড়চড়িয়ে বাড়ছে চায়ের দাম। তেমনই বলেছে টি-বোর্ডের একটি সূত্র। যার কারণে অনেকেরই সকাল বা বিকেলের চায়ের কাপ কিছুটা হলেও বিস্বাদ লাগতে শুরু করেছে অনেকেরই।

বাঙালি-সহ গোটা ভারতীয়দের কাছে চা - একটি অভ্যাস। সকাল বিকেল যে কোনও সময়ই চা চলে। আড্ডা থেকে আলোচনা - সবেতেই চা - একটি জরুরি পানীয়। বিয়ে থেকে শ্রাদ্ধ সব অনুষ্ঠানেই অতিথির জন্য বিনা দ্বিধায় বরাদ্দ করা হয়ে থাকে কমপক্ষে এক কাপ চা। কিন্তু এবার সেই চায়ের দামই ধীরে ধীরে আকাশ ছুঁচছে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

টি-বোর্ড সূত্রের খবর, প্রতি বছর বন্য বা খরার জন্য জন্য চায়ের উৎপাদন করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চায়ের উৎপাদনে ঘাটতি বাড়াচ্ছে চায়ের দাম। তেমনই জানিয়েছে টি -বোর্ডের একটি সূত্র। রিপোর্ট অনুযায়ী গত কিছু দিন ধরেই চায়ের উৎপাদন কমছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের। উৎপাদনে ঘাটতি স্বাভাবিক ভাবেই দাম বাড়িয়েছে চায়ের। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, চায়ের উৎপাদন কমলেও এখনও পর্যন্ত চাহিদায় ভাঁটা পড়েনি।

চা সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মে মাসে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যার কারণে চা চাষে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এরপরে সমস্যা তৈরি করেছে বন্যা। বিশেষ করে অসম ও দার্জিলিংএ অতিবৃষ্টি চা শিল্পের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চা -এর উৎপাদন কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত বছর মে মাসে চা-এর উৎপাদন হয়েছিল ৯১০ লক্ষ কেজি। এবার উৎপাদন এক দশকের মধ্যে সবথেকে কম। অন্যদিকে ২০টি কীটনাশক সরকার নিষিদ্ধ করেছে। যার কারণে চায়ের উৎপাদন কমে গিয়েছে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।

চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণেই চায়ের দাম বেড়েছে। জুন মাসে চায়ের দাম কেজিতে গড়ে প্রায় ২১৮ টাকা বেড়েছে। যার গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। প্রতি বছর জুলাই মাসে চায়ের উৎপাদন বেশি হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ বছর চায়ের উৎপাদন ১৫০ থেকে ২০০ কেজি কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কাকরা হয়েছে। যার কারণে চায়ের দাম ১৬-২০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।