নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে চালু হওয়া শর্তহীন নগদ লেনদেন প্রকল্পগুলি এখন ১২টি রাজ্যে পৌঁছেছে, যা রাজ্যের আর্থিক বাজেটের উপর উল্লেখযোগ্য বোঝা চাপিয়েছে। এই প্রকল্পগুলিতে আনুমানিক ব্যয় ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা যা অনেক রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতির একটি প্রধান কারণ।
UCT To Women: নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে চালু হওয়া শর্তহীন নগদ লেনদেন (ইউসিটি) প্রকল্পগুলি এখন কেবল দুটি নয়, ১২টি রাজ্যে পৌঁছেছে। মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রেরণকারী এই প্রকল্পগুলি কেবল রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি বরং রাজ্যের আর্থিক বাজেটের উপরও উল্লেখযোগ্য বোঝা চাপিয়েছে।
২০২৫-২৬ সালের আনুমানিক বাজেট অনুসারে, রাজ্য সরকারগুলি নারী কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে প্রায় ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করবে, যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশের সমান।
মহিলাদের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি
২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায়, আসাম মহিলাদের জন্য এই জাতীয় প্রকল্পগুলির জন্য বাজেট বরাদ্দ ৩১ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চ রিপোর্ট অনুসারে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে চালু হওয়া এই নগদ লেনদেন প্রকল্পগুলি রাজ্যগুলির উপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা বাড়িয়ে তুলছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাত্র দুটি রাজ্যে এই ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও, ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ১২টি রাজ্যে দাঁড়িয়েছে।
ক্রমবর্ধমান রাজস্ব ঘাটতি
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ইউসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বারোটি রাজ্যের মধ্যে ছয়টি রাজ্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ঘাটতির পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে যখন এই নগদ লেনদেন প্রকল্পগুলির ব্যয় বাদ দিয়ে রাজস্ব ভারসাম্য সমন্বয় করা হয়, তখন অনেক রাজ্যের রাজস্ব সূচকগুলি আরও ভালো দেখায়।
এটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে ইউসিটি প্রকল্পগুলি এই রাজ্যগুলিতে রাজস্ব ঘাটতির একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ হল, মহিলাদের সরাসরি নগদ সহায়তা প্রদানকারী এই প্রকল্পগুলি সরাসরি রাজ্যগুলির রাজস্ব ভারসাম্যের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।


