সংক্ষিপ্ত
খাবার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে অক্টোবরে থোক মূল্যস্फीতির হার চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.৩৬% এ পৌঁছেছে। এই সময়কালে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।
দেশে মূল্যস্फीতি কমার নাম নিচ্ছে না। খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। অক্টোবর মাসে পাইকারি মূল্যস্ফীতি (WPI in October 2024) বেড়ে ২.৩৬% এ পৌঁছেছে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সেপ্টেম্বরে পাইকারি মূল্যস্ফীতি ছিল ১.৮৪% এবং আগস্টে ১.৩১%। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে সবজি এবং খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। আসুন জেনে নিই, চার মাসে কোন জিনিসের দাম কতটা বেড়েছে.
চার মাসে কোন জিনিসের দাম কতটা বেড়েছে
চার মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কথা বললে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫৯% থেকে ৮.০৯% হয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ৯.৪৭% থেকে বেড়ে ১১.৫৯% হয়েছে। অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের পাইকারি মূল্যস্ফীতির হার -৪.০৫% থেকে কমে -৫.৭৯% এ নেমে এসেছে। উৎপাদিত পণ্যের WPI ১% থেকে বেড়ে ১.৫০% হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি কী
মূল্যস্ফীতিতে প্রাথমিক পণ্য (২২.৬২%), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ (১৩.১৫%) এবং উৎপাদিত পণ্য (৬৪.২৩%) এই ওজন অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রাথমিক পণ্যের মধ্যে রয়েছে খাদ্য (শস্য, সবজি), অ-খাদ্য (তেলবীজ), খনিজ এবং অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম।
মূল্যস্ফীতির আপনার উপর কী প্রভাব পড়ে
পাইকারি মূল্যস্ফীতির (WPI) দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আমাদের সবার উপর পড়ে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ উৎপাদনশীল খাতের উপর প্রভাব পড়ে, যারা তাদের বোঝা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়। সরকার শুধুমাত্র কর কেটে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন অপরিশোধিত তেলে কর কাটা করে। পাইকারি মূল্যস্ফীতি সূচকে বেশিরভাগ ধাতু, রাসায়নিক, প্লাস্টিক, রাবারের মতো কারখানা সম্পর্কিত পণ্য থাকে।
মূল্যস্ফীতি কীভাবে পরিমাপ করা হয়
দেশে দুই ধরনের মূল্যস্ফীতি হয়। খুচরো এবং পাইকারি। খুচরো মূল্যস্ফীতির হার সাধারণ মানুষের দেওয়া দামের উপর ভিত্তি করে। একে CPI (Consumer Price Index) বলা হয়। পাইকারি মূল্য সূচক হল পাইকারি বাজারে এক ব্যবসায়ীর, অন্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আদায় করা দাম। মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর উপর ভিত্তি করে খুচরো এবং পাইকারি মূল্যস্ফীতি নির্ধারিত হয়।