সংক্ষিপ্ত
চিনের জেনারল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে শুধুমাত্র আমেরিকার সঙ্গেই চিনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থেকেছে ৩৯৭ হাজার কোটি ডলার। সম্প্রতি চাইনিজ কাস্টম বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালে চিনের মোট রফতানির পরিমান ছিল ৩.৩ লক্ষ কোটি ডলার যা ভারতীয় অর্থনীতির থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি।
অতিমারি করোনা (Covid) পরিস্থিতিতে যখন বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক পরিস্থিতি (Financial Condition)) খুব একটা ভালো নয়, আর্থিক প্রেক্ষাপট (Financial Status) একপ্রকার জুবুথুবু সেই রকম পরিস্থিতিতে বাণিজ্যের ময়দানে (Commercial Field) ছক্কা হাঁকাল চিন। চিনের জেনারল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে শুধুমাত্র আমেরিকার সঙ্গেই চিনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থেকেছে ৩৯৭ হাজার কোটি ডলার। আর চিনের (China) মোট বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত থেকেছে ৬৭৬ হাজার কোটি ডলার যা এখনও পর্যন্ত যে কোনও দেশের নিরিখে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বর মাসে চিনের বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তে (China Set As A Historical Success In Business) ২০.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি নথিভূক্ত হয়েছিল আর এই পরিসংখ্যান ছিল ৯৪০.৪ হাজার কোটি ডলার। ২০২১ সালে বাৎসরিক ভিত্তিতে এই উদ্বৃত্তে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি নথিভূক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে মহামারি পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক আঙ্গিকে ঐতিহাসিক নজির গড়েছে চিন।
সম্প্রতি চাইনিজ কাস্টম বিভাগের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে চিনের মোট রফতানির পরিমান ছিল ৩.৩ লক্ষ কোটি ডলার। এই অঙ্কের পরিসংখ্যান ভারতীয় অর্থনীতির থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল সেমি কন্ডাক্টর সমস্যার খবর। আর সেই সমস্যার জন্য ্বিযোগের তীর ছিল চিনের দিকে। তবে সেই সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কম সেমি কন্ডাক্টর রফতানি করেও চিন রেকর্ড উদ্বৃত্ত অর্জন করে নজির গড়ল। প্রসঙ্গত, বাণিজ্যের ময়দানে বরবারই যুদ্ধক্ষেত্রে সামিল হয় চিন আর আমেরিকা। তবুও চিন সবচেয়ে বেশি রফতানি কিন্তু আমেরিকাকেই করে থাকে। ২০২১ সালে চিনের আমেরিকায় রফতানি ২৫.১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, যা ২০২০ সালের তুলনায় যা ২৭.৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে আবার চিন ২০২১ এ আমেরিকা থেকে মোট ১৭৯.৫ হাজার কোটি ডলার আমদানি করেছে, যা বাৎসরিক ভিত্তিতে ৩৩.১০ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন-Medinipur Corona: করোনার কবলে জেলার তিনশো চিকিত্সক স্বাস্থ্যকর্মী, বন্ধ হল ব্যাঙ্ক ও
উল্লেখ্য, শুধু ডিসেম্বর মাসেই চিনের আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হয়েছে ৩৯.২ হাজার কোটি ডলার। বাৎসরিক ভিত্তিতে ৩১.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বর মাসে চিনের মার্কিন রফতানি ২১.১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে ৫৬.৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে মার্কিন রফতানি ৩.৩ শতাংশ কমে হয়েছিল ১৭.১ হাজার কোটি ডলার। চিন ২০২১ সালে মোট ২.৭ লক্ষ কোটি ডলারের আমদানি করেছে যা বাৎসরিক ভিত্ততে ৩০.১০ শতাংশ বেশি। ২৭টি দেশের গোষ্ঠী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চিনের বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত ৫৭.৪ শতাংশ বেড়ে ২০৮.৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মোট রফতানি ৩২.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫১৮.৩ হাজার কোটি ডলার । অন্যদিকে আমদানিতেও ১৯.৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩০৯.৯ হাজার কোটি ডলার। বলাই বাহুল্য, বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তে বৃদ্ধির কারণে চিনা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কাছে পর্যাপ্ত ডলারের ভান্ডার তৈরি হয়েছে। চাইনিজ মুদ্রা ইউয়ান এই সময় ডলারের তুলনায় অনেকটাই উচ্চতর জায়গায় রয়েছে।