সংক্ষিপ্ত

রিসার্চ ফার্ম IQVIA-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে করোনা প্রকোপের আগে পর্যন্ত দেশে বিক্রি হওয়া ডোলো ট্যাবলেটের স্ট্রিপের পরিমাণ ছিল ৭.৫ কোটি। ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১৪.৫ কোটি অর্থাৎ ২১৭ কোটি ট্যাবলেট। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৫০ কোটির বেশী ডোলো ৬৫০ ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে।
 

২০২০ সালের শুরু থেকেই যাত্রা শুরু করেছিল অতিমারি করোনা (Covid 19) । আজও তা অব্যাহত। আর এই করোনার দাপটে একদিকে যখন জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে তখন অন্যদিকে রেকর্ড ব্যবসা (Record Sell) করেছে ডোলো ৬৫০ ট্যাবলেটটি (Dolo 650) ।  করোনাকালে এই ট্যাবলেটের সঙ্গে কম বেশী সকলেই পরিচিত হয়েছে। কোভিডের প্রাথমিক লক্ষ্মণ জ্বর, আর এই জ্বরের জন্যই মানুষ একপ্রকার মুড়ি মুড়কির মত খেয়েছে এই ডোলো ৬৫০ ট্যাবলেট (Dolo 650) । তাই স্বাভাবিকভাবেই করোনাকালে (covid 19) এই ওষুধ বিক্রি রেকর্ড পরিমান বেড়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৫০ কোটির বেশী ডোলো ৬৫০ ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে। অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে এটি মূলত জ্বরের প্রতিশেধক হিসাবেই  ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। ফলস্বরূপ বিগত দুই বছরে এই ডোলো ৬৫০ ট্যাবলেটের বিক্রিও দ্বিগুণ হয়েছে। রিসার্চ ফার্ম IQVIA-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে করোনা প্রকোপের আগে পর্যন্ত দেশে বিক্রি হওয়া ডোলো ট্যাবলেটের (Dolo tablet) স্ট্রিপের পরিমাণ ছিল ৭.৫ কোটি। আর ২০২১ সালের শুধুমাত্র নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডোলো স্ট্রিপ বিক্রি হয়েছে ১৪.৫ কোটি অর্থাৎ ২১৭ কোটি ট্যাবলেট। উল্লেখ্য, এক একটি স্ট্রিপে থাকে ১৫ টি ট্যাবলেট। 

ডোলো ৬৫০  জ্বরের ওষুধ হিসেবে বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এই ওষুধের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৩০৭ কোটি টাকা। জিএসকে-এর ক্যালপলের টার্নওভার ডোলো ৬৫০-র টার্নওভারের থেকে একটু বেশী। এই ওষুধের বার্ষিক টার্নওভার ৩১০ কোটি টাকা। তবে ডোলো ৬৫০-র চাহিদা প্রসঙ্গে একটা কথা বলাই বাহুল্য, জ্বরের প্রতিশেধক হিসাবে এই ওষুধের বিক্রি শুধু যএ দোকানেই হয়েছে এমনটা নয়,  ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২ লাখের বেশী  গুগলে সার্চ করা হয়েছে।   উল্লেখ্য, শুধু করোনাকালেই ডোলোর ব্যবস্য়া সাফল্য এসেছে এমনটা নয, এর আগে ২০১০ সালে ডোলো ৬৫০ বেস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্র্য়ান্ড অফ দ্য ইয়ারের তকমাও পেয়েছে। চিকিৎসকের একাংশের মতে আবার, জ্বরের প্রতিশেধক হিসাবে এই ওষুধের ছোট্ট নামের ব্যবহারও সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম কারন। 

আরও পড়ুন-Containment Zone: কনটেইনমেন্ট জোন কমল কলকাতায়, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে আবাসন, আজই জরুরী বৈঠক পুরসভার

আরও পড়ুন-U19 World Cup 2022: দলে করোনা আক্রান্ত ৬, তারপরও আইরিশদের হারিয়ে শেষ আটে টিম ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন-আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না ধরা পড়বে X-Ray-তেও দাবি বিজ্ঞানীদের

ডোলো ট্যাবলেট ৬৫০ বিক্রির পরিমানকে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট সহ  সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ খলিফার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কীভাবে একটি ট্যাবলেটের বিক্রির পরিমানকে এভাবেও তুলনা করা যায় এটা ভেবে অবাক হচ্ছেন নিশ্চই। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক...আসলে ডোলো ৬৫০ ট্যাবলেট ১.৫ সেন্টিমিটার লম্বা। আর করোনা কালে বিক্রির মোট পরিমান ৩৫০ কোটি।  এই ৩৫০ কোটি ট্যাবলেটকে যদি লম্বা করে পরপর সাজানো যায় তাহলে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় ৬ গুণ উঁচু। আর  সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ খলিফার প্রায় ৬৩ হাজার গুণ উঁচু।