সংক্ষিপ্ত
গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ বছর বসয়ী শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের প্রধান সাইরাস মিস্ত্রির। মুম্বইয়ের অদূরে পালঘরে দুর্ঘটনার কবলে বলে তাঁর গাড়িটি। যেসময় তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই সময় গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত মহিলা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনাহিতা পান্ডোল।
গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ বছর বসয়ী শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের প্রধান সাইরাস মিস্ত্রির। মুম্বইয়ের অদূরে পালঘরে দুর্ঘটনার কবলে বলে তাঁর গাড়িটি। যেসময় তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই সময় গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত মহিলা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনাহিতা পান্ডোল। জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন মুম্বইয় থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে এই সাইরাস মিস্ত্রির গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী অনাহিতা পাণ্ডোল, তাঁর স্বামী দারিয়াস পান্ডোল (৬০) , তাঁরা দুজনেই বেঁচে যান। দারিয়ুসেরভাই জাহাঙ্গির ও সাইরাস মিস্ত্রি দুর্ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়। এঁরা দুজনেই পিছনের সিটে বসেছিলেন।
সাইরাস মিস্ত্রির দুর্ঘটনার কারণ
পুলিশ সূত্রের খবর সাইরাস মিস্ত্রির গাড়িতে তীব্র গতিতে আসছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। পাশাপাশি একটি গাড়িকে ওয়ারটেক করারও চেষ্টা করছিল। তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এক প্রত্যেক্ষদর্শী জানিয়েছেন একজন মহিলা চালকের আসনে ছিলেন। তীব্র গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। পাশাপাশি একটি গাড়িতে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি।
অনাহিতা পান্ডোল
অনাহিতা পান্ডোল, মুম্বইয়ের বিখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট। তিনি চালাচ্ছিলেন সাইরাস মিস্ত্রির সিলভার মার্সিডিজ। ২০০৪ সালে থেকে অনাহিতা পান্ডোল পার্সি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি পার্সি দম্পতিদের সন্তান উৎপাদনে উসাহিত করার পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছিলেন। পার্সিদের সন্তান ধারনে অনুৎসাহ নিয়েও তিনি চর্চা করেছেন। তিনি 'জিও পার্সি' নামের একটি প্রকল্পেরও সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
সাইরাস মিস্ত্রি, প্রয়াত পালোনজি মিস্ত্রির ছেলে। শাপুরজি পালোনজি পরিবারের সদস্য। ১৯৩০ সাল থেকেই শাপুরজি মিস্ত্রিরা টাটা সন্সের সঙ্গে যুক্ত। সাইরাস মিস্ত্রি টাটা সন্সের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক। ২০১৮ সালে তাঁর মোট সম্পত্তির প্রায়১০ বিলিয়ন। তবে সাইরাস মিস্ত্রি টাটা সন্সের দায়িত্ব নেওয়ার পরই দুই ব্যবসায়ী পরিবারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। যার মিমাংশা হয় সুপ্রিম কোর্টে। ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের ষষ্ঠ চেয়ারম্য়ান হিসেবে দায়িত্ব নেন সাইরাস মিস্ত্রি। প্রথম দিকে সাইরাস মিস্ত্রি বা শাপুরজি পালোনজি পরিবারের সঙ্গে টাটাদের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপরই দুই পরিবারের মধ্যে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সম্পর্কের অবণতি শুরু হয়। যা সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তার পরেও প্রায় পাঁচ বছর ধরে হাই-প্রোফাইল বোর্ডরুম যুদ্ধ শুরু হয়।
সাইরাস মিস্ত্রিকে ভাবা হয়েছিল রতন টাটার উত্তরসূরি, তবে বিতর্ক সঙ্গী করেই চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে হয় তাঁকে
রোজ তুলসি পাতা খেলে শরীরের সঙ্গে ভাল হবে মনও, পাবেন এই ৬টি উপকার