সংক্ষিপ্ত
রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের থেকে ১৮৪.৪৩ কোটি টাকা প্রতারণা। অভিযোগের তীর আশিষ ঝুনঝুনওয়লার দিকে। ১৬ নভেম্বর ইডি গ্রেফতার করল তাঁকে।
শিল্পপতির অন্দরমহলে ঢুকে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি(ED)। সৌজন্যে, শিল্পপতির মোটা অঙ্কের আর্থিক প্রতারণা(Bank Fraud Case)। ফের শহরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা জালিয়াতির ঘটনা ঘটল তিলোত্তমার বুকে(Kolkata)। রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের(Ramswarup Industries Ltd) কর্ণধার আশিষ ঝুনঝুনওয়ালার (Asish Jhunjhunwala)বিরুদ্ধে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের থেকে ১৮৪.৪৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ(Bank Fraud Case)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি গ্রেফতার করল ব্যবসায়ী আশিষ ঝুনঝুনওয়ালাকে। মানি লন্ডারিং অ্যক্ট ২০০২ অনুসারে শনিবার গ্রেফতার(Arrested) করা হয় তাঁকে। রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রিটের চেয়ারম্যান আশিস ঝুনঝুনওয়ালা(Asish Jhunjhunwala) ইউনিয়ান ব্যাঙ্কের(Union Bank)থেকে ঋণ নিয়ে অন্য সংস্থায় খাটিয়ে তা পরিশোধ না করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। রামস্বরূপ সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথমে তদন্তে নামে সিবিআই। আর্থিক তছরূপের অভিযোগে মামলা করে ইডিও(ED)। গত ১৬ নভেম্বর থেকে টালিগঞ্জে তাঁর অফিস ও বাড়িতে লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্থা, যারা আর্থিক অপরাধের তদন্ত করে, তারাই এই আর্থিক তছরুপের মামলাটি প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে খুটিয়ে দেখছে । ২০১৭ সালের জুন মাসে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন দ্বারা এই বিষয়ে প্রাথমিকভাবে এফআইআর দায়ের করা সুত্র মারফত আরও জানা যায়,ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার তরফেই প্রথম আশিষ জুনঝুনওয়ালার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। তিনি সেই নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেন এবং সেই লোন সময়মত পরিশোধ না করেই অন্য সংস্থার অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ট্রান্সফার করে দেন। সিবিআইয়ের তরফে আশিষ ঝুনঝুনওয়ালা,নভীন গুপ্তা,আয়ুশ লোহিয়া,লোলিত মোহন ছাত্তি এবং বিমল ঝুনঝুনওয়ালার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়র করে। উল্লেখ্য, এনারা প্রত্যেকেই রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড গ্রুপের ডিরেক্টর। একটি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে বেশ কিছু নাম রয়েছে এই আর্থিক তছরুপের বিরুদ্ধে। বলা বাহুল্য,রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ডিরেক্টরা বেআইনি কাজের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-SBI Alert-বাড়ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা, গ্রাহকদের বারবার সাবধান করছে এসবিআই
আরও পড়ুন-চাকরিতে যোগ দিয়ে জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়ো, পুলিশের জালে প্রতারক
ব্যাঙ্কের থেকে আর্থিক প্রতারণার তালিকায় শুধু রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড গ্রুপের ডিরেক্টরাই নন, রয়েছে কলকাতার আরেকটি কোম্পানি শ্রী মহালক্ষ্মী কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টরদের নামও। ৪২.৩৬ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্ত চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি। এই সংস্থার দুজন ডিরেক্টর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে বিভিন্ন সময় লোন নিয়ে তা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের তরফে রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।