সংক্ষিপ্ত
- রেশন নিয়ে চালু হল বড়সড় সিদ্ধান্ত
- ফুড কুপন বিলি করা নিয়ে অনিয়ম রুখতে চালু হচ্ছে বারকোড
- ফুড কুপনের উপর বারকোড না থাকলে কেউ আর রেশন তুলতে পারবেন না
- করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নয়া নিয়ম চালু করেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর
রেশন কার্ড এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি টের পাওয়া গেছে এই লকডাউনে। কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আগামী দিনে রাজ্যে যাতে রেশন বন্টন পদ্ধতিতে কোন অভিযোগ না আসে তার জন্য স্বচ্ছতা আনতে এসএমএস ওটিপি অথবা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আনতে চলেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেইসমস্ত রকম প্রক্রিয়া সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এবার রেশন নিয়ে চালু হল বড়সড় সিদ্ধান্ত। ফুড কুপন বিলি করা নিয়ে অনিয়ম রুখতে চালু হচ্ছে বারকোড। এবার থেকে ফুড কুপনের উপর বারকোড না থাকলে কেউ আর রেশন তুলতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-পার্লারে যেতে ভয়, পুজোর আগে রিল্যাক্স মুডে বাড়িতেই ট্রাই করুন হোমমেড ন্যাচারাল 'স্পা'...
সম্প্রতি নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। একদিকে লকডাউন তার উপর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নয়া নিয়ম চালু করেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। যাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, এমন গ্রাহকদের জন্য ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ফুড কুপন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত গ্রাহকের ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পাচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত এই কুপন চালু থাকবে। তবে এতদিন প্যন্ত কুপনে ক্রমিক নম্বর দেওয়া থাকত। এবার নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ফুড কুপনে বারকোড থাকতেই হবে।
আরও পড়ুন-চা বন্ধ নয়, উল্টে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা মুক্তি দেবে এই চা...
ফুড কুপনের উপর বারকোড না থাকলে কেউ আর রেশন তুলতে পারবেন না। এর ফলে গ্রাহকদের রেশন দিতে সুবিধা হবে। এফপিএস মেশিনে বারকোড ঠেকানো মাত্র সেই গ্রাহক এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তথ্য দেখতে পারবেন রেশন ডিলাররা। কুপনে সরকারি অফিসারের ছাপানো সইও থাকবে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে খাদ্য দপ্তরের ইনস্পেক্টররা নিজেরা লগ-ইন করে ফুড কুপন ছাপিয়ে নিতে পারবেন। কুপন ছাপানো হয়ে গেলেই গ্রাহকের ফোনে এসএমএস আসবে। এবং সেই মতো তিনি ফুড ইনস্পেক্টর, বিডিও, এসসিএফএস কিংবা আরও অফিস থেকে ফুড কুপন সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। করোনা আবহে গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। লকডাউনের সময় রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করলেও ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকায় অনেকেই সেই সুযোগ পাননি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খাদ্যসাথী ফুড কুপন চালু করে রাজ্য সরকার।