সংক্ষিপ্ত
অতিমারি পরিস্থিতিতে পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের দিকে যেন সরকার একটু বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকার যেন তার বরাদ্দের পরিমান বাড়ায়, প্রাক বাজেটে দেশের বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের তরফে সেই দাবিই করা হয়েছে।
করোনার (Covid 19) তৃতীয় ঢেউ যখন গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়েছে তখনই সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-২৩ । আর এই বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আসন্ন ইউনিয়ন বাজেট থেকে বিভিন্ন সেক্টেরের বিভিন্ন রকমের আশা-প্রত্যাশা জড়িয়ে রয়েছে। যেমন বাজেট থেকে সোনা শিল্প তার লাভের আশা দেখছে তেমনই আবার শিক্ষামহল থেকে নারীজাতি সকলেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারণের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ বা করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্ক যখন মানুষের ঘুম কাড়ছে তখন শিল্প গোষ্ঠীরও (CII) ইউনিয়ন বাজেট থেকে একটা আকাঙ্খা রয়েছে। আর সেটি হল অতিমারি পরিস্থিতিতে পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের দিকে যেন সরকার একটু বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (Health Industry) সরকার যেন তার বরাদ্দের পরিমান বাড়ায়, প্রাক বাজেটে দেশের বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের তরফে সেই দাবিই করা হয়েছে। তাঁদের মতে, দেশ যদি সুস্থ থাকে তাহলে দেশের অর্থ ব্যবস্থাও সুস্থ থাকবে। মূলত হেলথকেয়ার সেক্টরের (Healthcare Sector) প্রতি বরাদ্দের পরিমান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে শিল্প গোষ্ঠী। করোনা যেভাবে বারবার রুপ বদলে ভয়ঙ্কর হচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে শিল্প গোষ্ঠীর সরকারের কাছে দাবি করেছে, এই বিষয়টির দিকে যেন সরকার বিশেষভাবে নজর দেয় আর সেই সঙ্গে টেস্টিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো, ভ্যাকসিন নিয়ে রিসার্চ বাড়ানো এবং পরিকাঠামো উন্নতি করতে ইউনিয়ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোটা প্রয়োজন বলে দাবি সংগঠনের।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিষয়ে সরকারের নজরদারি ও বরাদ্দের পরিমান বাড়ানোর দাবি তো বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর তরফে করাই হয়েছে, এছাড়াও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপকরণের ওপর জিএসটি কমানোরও আর্জি জানিয়েছে PADCCI-এর অধ্যক্ষ প্রদীপ মুলতানি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুলমার্গের রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্যকে সামনে রেখে তিনি বলেছেন, মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন অক্সিজেন প্লান্ট, কন্সেন্ট্রেটর সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর জিএসটি পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত নির্দিষ্ট রাখতে হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর অভধি এই নিয়ম জারি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। সাধারমের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তনি।
কেন্দ্রের আসন্ন ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-২৩ -এ স্বাস্থ্যখাতে বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই। জেনে নেওয়া যাক সিআইআই-য়ের তরফে কী দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে হেলথ সেক্টরে জিডিপির ১.২৯ শতাংশ খরচ করে সরকার। আগমী ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই পরিমান বাড়িয়ে ২.৫৩ শতাংশ পর্যন্তকরার দাবি করেছে শিল্প গোষ্ঠী। REITS-এর মত বিনিয়োগ স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের পরিমান বাড়বে বলে আশা করছে সিআইআই। স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন ধরনের মেডিক্যাল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়ানোরই দাবি করছে লাস্ট বাট নট ই লিস্ট, স্বাস্থ্য বিমার ওপর কর ছাড়ের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও দাবি জানান হয়েছে।