সংক্ষিপ্ত
- কেন্দ্র সরকার এক দেশ এক রেশন কার্ড সুবিধা চালু করে দিয়েছে
- লকডাউন চলাকালীন জুন মাস থেকে এই প্রকল্প চালু হয়েছে
- বিহার ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি এই তিন মাসের নিয়ম চালু করে ফেলেছে
- ৩ মাসের মধ্যে রেশন কার্ডের সুবিধা না নিলে তা বাতিল বলেই গণ্য হবে
রেশন কার্ড এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে এই লকডাউনে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকার এক দেশ এক রেশন কার্ড সুবিধা চালু করে দিয়েছে ৷ এবার ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে ৷ নয়া এই সুবিধায় উপভোক্তারা অন্য রাজ্যে গিয়েও রেশন তুলতে পারবেন ৷ নয়া নিয়ম বলা হয়েছে, কোনও নাগরিক যদি ৩ মাসের মধ্যে রেশন কার্ড ব্যবহার না করেন তাহলে কিন্তু রেশন কার্ড বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন-১ লক্ষেরও বেশি শূন্যপদে চাকরি ভারতীয় রেলে, হাতে সময় মাত্র তিন দিন...
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিহার ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি এই তিন মাসের নিয়ম চালু করে ফেলেছে। খুব শীঘ্রই যোগীর রাজ্যে এই নিয়ম চালু হয়ে যেতে পারে। আরও জানা যাচ্ছে অন্তত ৯টি রাজ্য যারা কিনা এই এক দেশ এক রেশন কার্ড পদ্ধতির অন্তর্গত, তারাও এই ৩ মাসের নিয়ম চালু করতে পারে। সরকারের মতে, কোনও ব্যক্তি যদি একটানা তিনমাস সরকারের দেওয়া স্বল্পমূল্যের জিনিস না কেনেন তার অর্থ সরকারের সাহায্য ছাড়াই জীবনযাপনের সঙ্গতি তাদের রয়েছে। এবং খাদ্যশস্যের জন্য সরকারি সাহায্যের কোনও প্রয়োজন নেই। সুতরাং, তাদেরর রেশন কার্ডেরও কোনও প্রয়োজন নেই। সুতরাং রেশন কার্ডের সুবিধা বজায় রাখতে হলে নাগরিকদের প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার সরকারি ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে কম টাকায় কিছু কিনতে হবে।
মোদি সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলির মধ্যে একটি হল এই এক দেশ এক রেশন কার্ড পদ্ধতি । চলতি বছরের লকডাউন চলাকালীন জুন মাস থেকে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। মোট ৬৭ কোটি মানুষকে এর আওতায় আনা হবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে প্রকল্পের কাজ ১০০ শতাংশ শেষ হবে বলে দাবি কেন্দ্রের। রেশন কার্ডের বদলে গ্রাহকদের ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া হবে। এবং বায়োমেট্রির মাধ্যমে সমস্ত গ্রাহকদের শনাক্ত করা হবে। তবে একটানা তিন মাস কেউ রেশন কার্ডের সুবিধা না নিলে তা বাতিল বলেই গণ্য হবে।