সংক্ষিপ্ত

  • প্রায় ১.৪ লাখ শূন্যপদে কমী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  ভারতীয় রেল
  •  ২১ টি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তিন দফায় নিয়োগ পরীক্ষা চলবে
  • আগামী ১৫ ডিসেম্বর  থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফার পরীক্ষা চলবে
  • তিন দফায়  মোট ২.৪৪ কোটি প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে চলেছেন

লকডাউনের জেরে কাজ হারাচ্ছে বহু মানুষ। তার মধ্যেই স্বস্তির খবর । চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। প্রায় ১.৪ লাখ শূন্যপদে কমী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই গতকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে পরীক্ষা। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ (১৫ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করল ভারতীয় রেল। মোট ২১ টি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তিন দফায় নিয়োগ পরীক্ষা চলবে। করোনাভাইরাসের সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে আগামী ১৫ ডিসেম্বর  থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফার পরীক্ষা চলবে।

আরও পড়ুন-শীতে খুশখুশে কাশিতে জেরবার, ঘরোয়া অব্যর্থ ওষুধ কাজ করবে কাফ সিরাপের চেয়েও দ্বিগুন...

প্রথম পর্যায়ে আইসোলেটেড এবং মিনিস্টেরিয়াল ক্যাটেগরির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।এবং তা চলবে সম্ভবত আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। এছাড়াও এনটিপিসি ক্যাটেগরির প্রার্থীদেরও পরীক্ষা হবে। আগামী বছরের জুন মাসে তৃতীয় দফায় লেভেল-১ ক্যাটেগরির পরীক্ষা হবে। সুতরাং সবমিলিয়ে তিন দফায়  মোট ২.৪৪ কোটি প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে চলেছেন।

 

 

রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রার্থীদের নিজের রাজ্যের মধ্যেই  পরীক্ষাকেন্দ্র দেওয়ার চেষ্টা করেছে আরআরবি। যাতে এক রাতের যাতায়াতেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে পরীক্ষার্থীরা। বিশেষ করে মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের নিজেদের রাজ্যেই আসন পড়েছে। রেলের তরফে বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে, দেখে নিন একনজরে,

 

পরীক্ষার্থীদের কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে
 
 প্রতিটি প্রার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।

 পরীক্ষায় বসার জন্য সেলফ ডিক্ল্যারেশন ফর্ম স্বাক্ষর করতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে যে ওই প্রার্থী পরীক্ষায় বসার জন্য শারীরিকভাবে ফিট।

থার্মোগান দিয়ে সমস্ত প্রার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। যদি কোনও প্রার্থীর শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার বেশি থাকে, তাহলে পরীক্ষার দিনও পাল্টে দেওয়া হবে।

রেলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে পরবর্তী পর্যায়ের পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে। 

 এক বছরের মধ্যে সফল প্রার্থীরা হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।