সংক্ষিপ্ত
- নতুন বছরের চিন্তা বাড়তে পারে মোবাইল ব্যবহারকারীদের
- বাড়তে পারে ফোনের প্রিপেইড ও পোস্টপেইড প্ল্যানের খরচ
- চলতি আর্থিক বছরে মোবাইল প্ল্যান হতে পারে ব্যয়বহুল
- ইতিমধ্যেই ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড প্ল্যানর দাম বাড়িয়েছে
নতুন বছরের চিন্তা বাড়তে পারে মোবাইল ব্যবহারকারীদের। কারণ নতুন বছর থেকে বাড়তে পারে ফোনের প্রিপেইড ও পোস্টপেইড প্ল্যানের খরচ। এর কারণ হল টেলিকম সংস্থাগুলি মোবাইলের কর বাড়ানোর সিন্ধান্ত নিতে চলেছে। এর ফলে প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড প্ল্যানের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টেলিকম সংস্থাগুলি শুল্ক বাড়িয়েছিল। এর পরে, মোবাইল নেটওয়ার্ক 2G বা 3G থেকে 4G-তে আপগ্রেড করা হয়েছিল। এটি ২০২০-২১ অর্থবছরে টেলিকম সংস্থাগুলির কর উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি মাথায় রেখে টেলিকম সংস্থাগুলি আবার মোবাইলের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত করছে। ICRA এর মতে, চলতি আর্থিক বছরে মোবাইল প্ল্যান ব্যয়বহুল হতে পারে।
আরও পড়ুন- X-Mas-এর আগে দারুণ সস্তা হল সোনা, হু হু করে কমছে ১০ গ্রামের দাম
টেলিকম সংস্থাগুলির আয় চলতি অর্থ বছরে ১১% বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড সম্প্রতি তার পোস্টপেইড প্ল্যানর দাম বাড়িয়েছে। সংস্থাটি আশা করছে যে ২০২১-২২ অর্থ বছরে আয় বাড়বে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাস করোনার সঙ্কটের মধ্যে ডেটার ব্যবহার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সংস্থাগুলি গ্রাহক পিছু উপার্জন বৃদ্ধি করেছে। শক্ত প্রতিযোগিতার কারণে টেলিকম সংস্থাগুলির উপার্জন কমতে দেখা গেছে। তবে ২০২০-২১ অর্থ বছরে শিল্পের আয় বৃদ্ধি পাবে। তবে ICRA-এর অনুযায়ী, শুল্ক বৃদ্ধি এবং ঘন ঘন আপগ্রেড হওয়ার কারণে টেলিকম সংস্থার আয় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন- 'Year Ender' বাম্পার ধামাকা, জলের দরে বাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছে 'SBI'
২০২১-২২ অর্থ বছরে টেলিকম সংস্থাগুলির উপার্জন প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে উপার্জন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ঋণও বাড়বে। ICRA এর অনুমান অনুসারে, ২০২১-১৯ অর্থবছরে টেলিকম শিল্পের ঋণ হবে ৪.৯ লক্ষ কোটি টাকা। শুধু ২০২২ সালে, টেলিকম শিল্পের ঋণ হবে ৮.৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১০-১২ অর্থবছরে, রাইট ইস্যু, QIP এবং অতিরিক্ত স্পনসর তহবিল আধারের মাধ্যমে টেলিকম সংস্থাগুলি বিপুল সংখ্যক ঋণ পরিশোধ করেছিল। এর কারণে, টেলিকম সংস্থাগুলির ঋণ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ হিসাবে কমে ৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যখন ৩১ মার্চ ২০১৯-এ এটি ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।