সংক্ষিপ্ত
গত বছর বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জন্য মোট অর্থ বরাদ্দের পরিমান ধার্য করা হয়েছিল ২.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের জন্য পেশ হতে চলা বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের পরিমান ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করে রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ করা তহবিলের পরিমান ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ান হতে পারে।
অতিমারি করোনা পরিস্থিতির (Covid 19) মধ্যেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)সংসদে পেশ করবেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget 2022-23) । তাই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে বলে আশাবাদী বিশেশজ্ঞরা। করোনার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রটিকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করা প্রয়োজন। তাই এই বিষয়টির ওপর বাজেটে বিশেষ মনোনিবেশ করা উচিত বলে মত প্রকাশ বিশেষজ্ঞ মহলের। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে অত্যাধুনিক করে তোলার লক্ষ্যে বিশেষভাবে জোড় দেওয়ার একটা প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। একটি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যেখানে বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের (Health Sector) জন্য মোট অর্থ বরাদ্দের পরিমান ধার্য করা হয়েছিল ২.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের জন্য পেশ হতে চলা বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের পরিমান ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে (Investment May Increase Up To 50 Percent In Health Sector)।
করোনার প্রতিশেধক হিসাবে টিকাকরণই এখন একমাত্র পথ। আর সেই টিকাকরণের দিকে আগামী বাজেটে বেশী ফোকাস করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুত্রের খবর অনুযায়ী, গত বছর বাজেটে করোনা মহানমারি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যে ফান্ড বরাদ্দ করা হয়েছি, আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে সেই ফান্ডের পরিমান বেশ খানিকটা বাড়াতে পারে। গত বছর অতিমারি করোনা সংক্রমণ রুখতে চোদ্দশো কোটি টাকা কেন্দ্রের তরফে টিকা প্রস্তুতের জন্য দেওয়া হয়েছিল। আগমি দিনে টিকার সংখ্যা আরও বাড়তে হবে। বিভিন্ন বয়সে টাকাকরণের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সেই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখেই ইউনিয়ন বাজেটে টিকার ওপর বেশি ফোকাসের একটা আশা রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে আরও একটি বিষয়ের ওপর ফোকাস করার সম্ভবনা রয়েছে। মহামারি করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রের তরফে যে প্রকল্পগুলো চালু করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়িত করতে রাজ্যগুলিকে দেওয়া তহবিলের পরিমান বাড়ানো হতে পারে। প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে যাতে করোনা পরিস্থিতিতে কোনও রকম সমস্যায় পড়তে না হয় সেই জন্যই আসন্ন ইউনিয়ন বাজটে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে পুরো চিকিৎসা পরিকাঠামো যাতে ডিজিটাল করা যায় যাতে করোনার সময়ে মানুষকে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেই দিকেও নজর দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
আরও পড়ুন-করোনাকালে আয়করের ওপর ফোকাস করতে পারে কেন্দ্রীয় বাজেট, মতপ্রকাশ বিশেষজ্ঞ মহলের
দ্যা কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডস্ট্রি বা সিআইআই (CII)-র সভাপতি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসার খরচও বেশ চড়া হয়েছে। মহামারি পরিস্থিতিতে মানুষের আয় কমেছে কিন্তু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে খরচ বেড়ে গিয়েছে। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিৎ স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিনিয়োগ বহাল রাখা। বর্তমানে যে বিনিয়োগের পরিমান জিডিপির ১.৩ শতাংশ, সেটিকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত করলে ভাল হয় বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপকরণের ওপর জিএসটি কমানোরও আর্জি জানিয়েছে PADCCI-এর অধ্যক্ষ প্রদীপ মুলতানি। মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন অক্সিজেন প্লান্ট, কন্সেন্ট্রেটর সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর জিএসটি পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত নির্দিষ্ট রাখতে হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর অভধি এই নিয়ম জারি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।