সংক্ষিপ্ত
নতুন ভারতের আইকন এখন স্টার্টআপ। বাণিজ্যের দুনিয়ায় এই নয়া দিশাতে ভারতের উন্নতির গ্রাফ এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে বিশ্বের চোখ তাতে টাটিয়েছে। নায়িকার মতো স্টার্টআপ-এর স্বপ্নের উত্থান হোক বা কু-এর প্রতিযোগিতার সামনে পড়ে যাওয়া টুইটার। বরিস জনসনের সামনে উঠে এল এক নতুন ভারতের পরিচয়।
নায়িকা থেকে কু, পলিগন, বিল্ডার ডট এ আই, সেফেক্সপে-- তালিকাটা ধরে টানতে থাকলে এটা লম্বা থেকে লম্বাতর যে হবে তাতে সন্দেহ নেই। এমনই সব স্টার্টআপ-এর সঙ্গে পরিচয় ঘটল ব্রিটেনের প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসনের। ব্রিটেনে চলা ইন্ডিয়ান গ্লোবাল ফোরামের মঞ্চে মূল আলোচনা চলার সঙ্গে সঙ্গেই সাক্ষাৎ হল ভারতের একগুচ্ছ স্টার্টআপ-এর প্রতিনিধি দল ও বরিস জনসনের মধ্যে। যিনি এই অসামান্য কাজটি করলেন তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। বরিস জনসনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর আরও এক মন্ত্রী পল স্কালি।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরেরর নেতৃত্বে এই সাক্ষাৎপর্বে নিউ ইন্ডিয়া স্টার্টআপ ও ইউনিকর্নের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিল কু থেকে শুরু করে নায়িকা, পলিগন, বিল্ডার ডট এ আই, সেফেক্সপে। জানা গিয়েছে প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসন এবং মন্ত্রী পল স্কালির সঙ্গে এই সাক্ষাৎ পর্বে মূলত নতুন ভারতের স্টার্টআপস এবং ব্যবাসায়িক উদ্যোগে নতুন নতুন যে ভাবনা ও চিন্তার আমদানি হয়েছে এবং তার জেরে যে সাফল্য এসেছে তা উঠে আসে। এছাড়াও স্টার্টআপ-এর এই বুমে কীভাবে প্রযুক্তি একটা নির্ভরযোগ্য ও দিশা বদলে দেওয়ার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে তাও তুলে ধরা হয় এই আলোচনায়।
পরে এই সাক্ষাৎ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্কিল দফতর ও আঁন্তেপ্রণেশিপ অফ ইন্ডিয়া মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইটার পোস্টে লেখেন,'গত ৭ বছরে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভাবনায় কী ধরনের উন্নতি হয়েছে তা নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এই ডিজিটাল ইন্ডিয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবনীর শক্তির বিস্তারের পিছনের ইকো-সিস্টেমটাকে। ভারত ও ব্রিটেন কীভাবে এই ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'
৩০ জুন ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছিলেন যে যৌথ সহযোগিতায় আর্থিক উন্নতির পথে অগ্রগতি হওয়ার ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রিটেন দুদেশেরই স্বার্থ রয়েছে। আর তাই ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ-ই চায় এই ক্ষেত্রে একে অপরের হাত ধরতে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নতুন ভাবনার ভবিষ্যতের সাফল্যের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে ভারত ও ব্রিটেনের মতো অর্থনীতি। এই আলোচনা প্রসঙ্গেই মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান যে, আগামীতে দেশের গড় আর্থিক বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ইকোনমি অন্তত ২৫ শতাংশ অবদান রাখতে পারে তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন- মন কি বাত অনুষ্ঠানে পুরুলিয়ার অধ্যাপকের প্রশংসা মোদীর, স্টার্টআপ নিয়েও বিশেষ বার্তা
আরও পড়ুন- ক্রমশ সাফল্যের পথে এগোচ্ছে স্বদেশী স্টার্টআপ, সৌজন্যে বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগ
আরও পড়ুন- সেমি কন্ডাক্টর শিল্পের প্রচার প্ল্যাটফর্ম সেমিকন ইন্ডিয়ার প্রশংসা রাজীব চন্দ্রশেখরের