সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি ২৮.৩ কোটি ডলারের রাউন্ড অফ ফান্ডিং করে ইউনিকর্নের তকমা পেয়েছে স্পিনি। তাদের এই প্ল্যাটফর্মে সংগ্রহ করা মোট পুঁজি ৫৩ কোটি টাকার বেশি। এর ফলে তাদের ভ্যালুয়েশন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলার।

পুরোনো গাড়ি বিক্রেতা কোম্পানি (Used Car Retailing Platform) স্পিনির (Spinny) সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক বিনিয়োগকারী (Strategic Investor) হিসেবে যোগ দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। মঙ্গলবার স্পিনির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্র্যান্ডের প্রধান প্রচারকও (Brand Endorser) হয়েছেন তিনি। অবশ্য তিনি ঠিক কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন সেই বিষয়ে সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে সচিন তেন্ডুলকর বলেন, "আমাদের দেশ তরুণ হচ্ছে, আর উচ্চাকাঙ্খা বড় হয়ে উঠছে। আজকের উদ্যমী তরুণরা এই আকাঙ্খাকে পূরণ করতে সমাধান তৈরি করছে। আমি স্পিনির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুব খুশি। এটি এমন একটি সংস্থা যারা সঠিক উপায়ে সমাধান তৈরি করতে চায়।"

আরও পড়ুন- Netflix: Amazon Prime-কে বড় ধাক্কা, সাবক্রিপশনের দাম কমল আরও

সচিন যোগ দেওয়ায় খুশি স্পিনির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নীরজ সিং (Niraj Singh)। তিনি বলেন, "স্পিনির সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকরকে পেয়ে আমরা খুবই খুশি। আমরা গর্বের সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।" প্রসঙ্গত চলতি বছরের শুরুতে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধুও স্পিনির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।  

সম্প্রতি ২৮.৩ কোটি ডলারের রাউন্ড অফ ফান্ডিং করে ইউনিকর্নের তকমা পেয়েছে স্পিনি। তাদের এই প্ল্যাটফর্মে সংগ্রহ করা মোট পুঁজি ৫৩ কোটি টাকার বেশি। এর ফলে তাদের ভ্যালুয়েশন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলার। আবু ধাবিতে অবস্থিত অ্যাডিকিউ, টাইগার গ্লোবাল আর অ্যাভেনিয়ার গ্রোথ এই ই-সিরিজ রাউন্ড অফ ফান্ডিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান বিনিয়োগকারী সংস্থা ফিরোজ দেওয়ানের এরিনা হোল্ডিংস আর থিংক ইনভেস্টমেন্টসেরও অংশীদারি রয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থার তরফে একথা জানানো হয়েছে।

এই মুহূর্তে ২৩টি গাড়ির হাব রয়েছে স্পিনির কাছে। সেগুলি রয়েছে ১৫টি। এছাড়া প্রায় ৪০টি ভারতীয় স্টার্টআপ কোম্পানি এই বছর ইউনিকর্ন ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছে আর ৩৮ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। ভারতে প্রতি মাসে হাজার হাজার পুরনো গাড়ি বিক্রি হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে একাধিক ঝুঁকি থাকে। কারণ পুরনো গাড়ি অফলাইন আর প্রথাগত চ্যানেলের মাধ্যমে কেনার ক্ষেত্রে অনেককেই ঠকতে হয়। কিন্তু, সেই কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে স্পিনি। প্রথাগত দালালদের সরিয়ে গ্রাহকদের জন্য পুরনো গাড়ি কেনা অনেক বেশি সস্তা এবং বিশ্বাস যোগ্য করে তুলেছে তারা। যার ফলে গ্রাহকদের কাছে ভরসাযোগ্য হয়ে উঠেছে স্পিনি। আর এর মাধ্যমেই তাদের বেড়েছে তাদের ভ্যালুয়েশন।