সংক্ষিপ্ত
অঞ্জলি বিশ্বকর্মীর বাবা আনন্দ কুমার অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী। মা নীলম বিশ্বকর্মা হোমমেকার। অঞ্জলির ছোট বোনও রয়েছে। বাড়িয়ে সেই প্রথম সিভিস সার্ভির পরীক্ষায় সফল ব্যক্তিত্ব।
অঞ্জলি বিশ্বকর্মা (Anjali Viswakarme) ছাত্রী হিসেবে সফল। কানপুর আইআইটির (IIT Kanpur) ছাত্রী ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বিটেক পাশ করেন। পরবর্তীকালে বিদেশী সংস্থায় মোটা মাইনের চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান স্বস্তি পাননি। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কিছু করার লক্ষ্যেই সেই নামী-দামী চাকরে ছেড়ে আবার নতুন করে শুরু করেন কঠোর পরিশ্রম। তাতেই অবশ্য সফল হয়ে চলতি বছর ইউপিএস পরীক্ষায় (UPSC Topper) সফল হয়েছেন তিনি। ইউপিএসসি পরীক্ষায় ১৫৪ ব়্যাঙ্কও করেছেন তিনি।
অঞ্জলি বিশ্বকর্মীর বাবা আনন্দ কুমার অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী। মা নীলম বিশ্বকর্মা হোমমেকার। অঞ্জলির ছোট বোনও রয়েছে। বাড়িয়ে সেই প্রথম সিভিস সার্ভির পরীক্ষায় সফল ব্যক্তিত্ব। তবে অঞ্জলি প্রথমবার পরীক্ষায় বসেই সফল হয়নি। কিন্তু তারজন্য হাল ছাড়েনি অঞ্জলি। দ্বিতীয়বার আরও কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তাতেই এসেছে সাফল্য। এশিয়ানেট নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় তেমনই জানিয়েছেন অঞ্জলি।
অঞ্জলি বিশ্বকর্মী ২০১৫ সালে আইআইটি কানপুর থেকে পাস করেন। সেবছরই চাকরি পায়ে গিয়েছিলেন বিদেশের একটি তেল কোম্পানি। তারপর টানা তিন বছর বিদেশি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন অঞ্জলি। কাজের সূত্রের মাত্র তিন বছরেই মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ডসহ একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি। কিন্তু টান ছিল দেশের প্রতি। তাই সবকিছু ভুলে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরীক্ষার জন্য নতুন উদ্যম নিয়ে শুরু করেন পড়াশুনা।
Kerala Rain: কেরলে বৃষ্টি আর ভূমিধসে বাড়ছে মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রী মোদী কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে
Breaking News: বাড়ির সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি, বিজেপি নেতা খুন দুষ্কৃতীদের হাতে
Congress: 'পঞ্জাবের শেষ সুযোগ', সোনিয়াকে চিঠি লিখে কি সতর্ক করলেন সিধু
অঞ্জলি জানিয়েছেন, টাকাতো অনেক মানুষই উপার্জন করে। তিনিও বিদেশি সংস্থায় মোটা মাইনেরই চাকরি করতেন। কিন্তু দেশের মানুষ আর সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ বারবারই অনুভব করতেন তিনি। তিনি আদলাদা কিছু করতে চেয়েছেলিন। সেই কারণেই চাকরি ছেলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার কথা ভেবেছিলেন।
অঞ্জলি জানিয়েছেন, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কারণ কখন কী ভাবে কী করতে হবে তার সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। কোচিং সেন্টারগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। সেখানে মেধাবী পড়ুয়ারাও যায়। কিন্তু আসল প্রস্তুতি নিজেকেই নিতে হয়। কোচিং সেন্টারগুলি থেকে মানুষ শিখতে পারে। কিন্তু তা প্রয়োগের রাস্তা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন খুব কম পরীক্ষার্থী এক বা দুবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু চেষ্টা করলে অসাফল্যের পরই যে সাফল্য আসে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।